‘রবি ও এয়ারটেল মিলে এখন শুধুই রবি’

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ০৩:১৪ এএম

ঢাকা: অবশেষে দেশের দুই মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেল এক হওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার রবি ও এয়ারটেলকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এক হওয়ার পর এ কোম্পানি পরিণত হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে। যা রবি নামেই বাজারে থাকবে; আর এয়ারটেল নামটি উঠে যাবে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানা, এ অনুমোদনের ফলে দুটি কোম্পানির এক হওয়ার সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন শুধু নির্ধারিত মাসুল ও ফি দিয়ে রবি-একটেল এক হয়ে যাবে।

দুই অপারেটরকে এক হতে কিছু সহজ শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, শর্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি বিটিআরসি। দেশের দুই মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের এক হওয়ার প্রস্তাব গত অগাস্টে হাই কোর্টের অনুমোদন পায়।

রবি ও এয়ারটেলের ব্যবসা এক হলে একীভূত কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াবে চার কোটির বেশি, যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ। পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন আছে সবার উপরে।

২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) এ একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে রবি।

দুই অপারেটরের ব্যবসা একীভূত করতে ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর তা বিটিআরসিকে জানানো হয়। এ নিয়ে শুনানি করে বিটিআরসি কয়েকটি সুপারিশসহ মূল্যায়ন পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে।

সুপারিশে বলা হয়, এয়ারটেল তাদের থ্রিজি লাইসেন্সের মেয়াদ, অর্থাৎ ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের ২৫ শতাংশ মালিকানা বিক্রি করতে পারবে না। এরপর গত ১৩ জুলাই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই কোম্পানির তরঙ্গ একীভূত করার ফি ও মার্জার ফি বা মাশুল নির্ধারণ করা হয় ১০০ কোটি টাকা।

এর আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়ে ছিলেন, ওই মাশুলেই রবি ও এয়ারটেলের এক হওয়ার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুমোদন দিয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: