আমীর হওয়ার চারদিনের মাথায় মকবুলের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৬, ০৫:২৪ এএম

ঢাকা:‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম’-এর কেন্দ্রীয় আমীর হওয়ার চারদিনের মাথায় মকবুল আহমেদের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ছয় বছর ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর সোমবার দলের পূর্ণকালীন নেতা হিসাবে শপথ নেন মকবুল আহমেদ। পরদিনই বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টলে প্রকাশ পায়, মকবুল আহমেদ ১৯৭১ সালে ফেনী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতা-বিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন। ঐ সংবাদের সূত্র ধরেই এখন মকবুল আহমেদের সেই যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রদান আব্দুল হান্নান খান জানান, একটি অনলাইন খবরে মকবুল আহমেদের বিরুদ্ধে দুটো সুনির্দিষ্ট
অপরাধের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে এবং তার সত্যতা তারা অনুসন্ধান করবেন। তিনি আরো জানান, অনুসন্ধানের জন্য গতকাল বুধবার একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে আসে, যদি যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন মামলা করে তদন্ত করা হবে।

একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান বলেন, মকবুল আহমেদ যে রাজাকার ছিল, সেটা ঐ এলাকার তালিকায় রয়েছে। এটা ঠিক।

ছয় বছর ভারপ্রাপ্ত আমীর থাকলেও এখন কেন মকুবল আহমাদের বিরুদ্ধে এ অনুসন্ধান? বিবিসির এ প্রশ্নে আব্দুল হান্নান খান বলেন, এতদিন আমাদের

কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত ছিলনা। এখন অন্তত দুটো সুনির্দিষ্ট ঘটনার অভিযোগ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আইনে তাদের এ ধরণের অনুসন্ধান করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কারো মুখে কিছু শুনলেও আমরা তদন্ত করতে পারি।

মকবুল আহমেদের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধানের এ উদ্যোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলের ওয়েব সাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ছয় বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত আমীর থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিলনা। এখন শপথ নেওয়ার পরপরই এ অভিযোগ। জামায়াত বলছে, দলের বিরুদ্ধে সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে এ অনুসন্ধান।-বিবিসির প্রতিবেদন

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: