সিটিসেলের দেড় লাখ গ্রাহকের কী হবে?

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৬, ০৬:৩৭ এএম

ঢাকা:আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেলের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এর পর থেকে কোনো সিটিসেল নম্বর খোলা পাওয়া যাচ্ছে না।

বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তের পর গ্রাহকরা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অসংখ্য গ্রাহক সিটিসেলের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করেন। কারোর নম্বরটির রয়েছে স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাজে। এখন সক্রিয় প্রায় দেড় লাখ (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত) গ্রাহকের কি হবে?

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে সিটিসেলের গ্রাহকদের দুই সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানায়। সে হিসেবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় পান গ্রাহকরা। যদিও ১৪ আগস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটিসেলের গ্রাহকরা আরো সময় পাবেন।

এরপরে সিটিসেল উচ্চ আদালতে গেলে বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্তে ওপর চলে যায়। বিটিআরসি ওই নোটিশ দিলে সিটিসেল আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ গত ২৯ আগস্ট সিটিসেলের বকেয়া টাকা পরিশোধ করার শর্তে অপারেশন চালিয়ে যেতে বলে। এজন্য সিটিসেল পেয়েছিল দুই মাস সময়। সিটিসেলের বকেয়া ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধের কথা বলা হয়।

বিটিআরসি যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে গ্রাহকদের বিকল্প পথ ছাড়া আরও অন্যকোনও পথে যাওয়ার উপায় নেই। বিটিআরসি প্রকাশিত (গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত) তথ্য অনুসারে সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখ ৬৮ হাজার। এদিকে সংযোগ বন্ধ না করে বিকল্প ব্যবস্থার দাবি ছিল সিটিসেল গ্রাহক ফোরামের।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: