দিশা স্কুলের তিন শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেন

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৬, ০২:০৬ এএম

শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী দিশা প্রিপারেটরী এন্ড হাই স্কুল থেকে এসএসপি পাশ করা তিন শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়েছে। এরা হলেন, তাসমিয়া কামাল শ্যামা, আনিকা তাবাসুম ফ্লোরিন এবং অধরা ইসলাম বাশরি।

শেরপুর দিশা প্রিপারেটরী এন্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ হোসেন জানান, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলের অসংখ্য শিক্ষার্থী বর্তমানে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল, বুয়েট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নসহ দেশের গুরুত্ব পূর্ণ স্থানে কর্মজীবী রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ স্কুল থেকে ২০১৪ সালে এসএসসি পাশ করা জেলা সদরের ৬ জন মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীনদের মধ্যে তিন জনই আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীনদের মধ্যে শ্যামা সুযোগ পেয়েছে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে। তার বাবা শাহ কামাল উদ্দিন জামালপুর আশেক মাহমুদ বিশ্ববিদ্যায় কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং মা দিশা প্রিপারেটরী স্কুলের শিক্ষিকা নুরন্নাহার বেগম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া ফ্লোরিনের বাবা নেত্রকোনা সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এবং মা আখতিয়ারা বেগম ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সোহরাওর্য়াদি মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছে বাশরি। তার বাবা শহরের বিশিষ্ট ঠিকাদার মো. বেলাল উদ্দিন এবং মা গৃহিনী কহিনুর বেগম।

এই তিন শিক্ষার্থী দিশা স্কুল থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ গোল্ডেন পওয়ার পর শ্যামা ও ফ্লোরিন ভর্তি হয় স্থানীয় সরকারী কলেজে এবং বাশরি ভর্তি হয় ঢাকার হলিক্রস কলেজে। পরে চলতি বছর এইচএসসিতে ফ্লোরিন ও শ্যামা জিপিএ-৫ পায় এবং বাশরি পায় জিপিএ-৫ গোল্ডেন।

মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তারা চিকিৎসা শাস্ত্রের উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে মানব সেবায় নিজ এলাকায় কাজ করে যাওয়া ইচ্ছে রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: