শিশুটির লাশ উত্তোলন করা হবে

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৬, ০৩:৪০ পিএম
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে নেশার টাকার জন্য অপহৃত শিশু জান্নাতুলকে (৪) হত্যার পর উপজেলা পরিষদের অদুরে পোস্ট অফিসের কাছে জঙ্গলের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত কুপের মধ্যে ইট ও মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অপহরনকারী মাদকাসক্ত মঞ্জুকে রিমান্ডে আনার পর সে পুলিশের কাছে এধরনের স্বীকারোক্তি দিয়েছে। রাতে লাশ উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় পুলিশ নিহতের স্বজনদের সাথে নিয়ে ওই এলাকাটিকে ঘিরে রেখেছে। সকালে লাশ উদ্ধার করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছেন। এছাড়াও পুলিশ ঘটনার সাথে নাজমুল ও বাবুল নামে আরো দুজনকে আটক করেছে। শিশু জান্নাতুল জামতৈল গ্রামের কুলি সর্দার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। কামারখন্দ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ৭ অক্টোবর শিশু জান্নাতুলকে একই গ্রামের মাদকাসক্ত মঞ্জু অপহরনের ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নাজমুল নামে একজনের হাতে তুলে দেয়। পরে স্থানীয়রা মঞ্জুকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করে। আটকের পর সে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে নিয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছিল। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে উল্লাপাড়ার কাওয়াক থেকে মৃত লিটনের ছেলে নাজমুলকে আটক করেন। এছাড়াও পুলিশ গতকাল মঞ্জুকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে থাকাবস্থায় মঞ্জু জানায়, শিশুটিকে হত্যার পর কুপের মধ্যে ইট ও মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও সে আরো জানান, ঘটনার সাথে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী বকুল, কাঙ্গাল ও লালন জড়িত রয়েছে। এই তিনজন তাকে হত্যার জন্য এবং নাম বলার জন্য তিন লক্ষাধিক টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বকুলকে আটক করেন। অন্য দুইজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, জঙ্গলের মধ্যে গর্তে চাপা দিয়ে শিশুটি রাখা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু অন্ধকারের মধ্যে উদ্ধারের সরঞ্জমান না থাকায় আজ সকালে উদ্ধার করা হবেও এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: