ঝিনাইদহে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ০৫:১৭ পিএম

ঝিনাইদহে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জে সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ পুলিশ কনস্টেবল। এসময় অস্ত্র, বোমা ও রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরের দিকে ঘটনাটি ঘটে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, জেলা শহরের বাইপাস সড়কের ভুটিয়ারগাতী নামক স্থানে পুলিশের একটি টহল দল টহল দিচ্ছিল। এসময় ৩ টি মটর সাইকেল দেখতে পেয়ে পুলিশ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করলে মটর সাইকেল আরোহী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ করে বোমা নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ে। আতœরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর ১ সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অপর ২ সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় পুলিশের ৩ কনস্টেবল আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২ টি শাটার গান, ২ রাউন্ড গুলি ও ৫ টি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ। আহত পুলিশ কনস্টেবলরা হল, বুলবুল আহমেদ, আলমগীর হোসেন ও নাছিম। তিনি আরো জানান, সন্ত্রাসীরা কোন নাশকতামুলক কর্মকান্ড করতে যাচ্ছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুলিশ ও ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান নাসির উদ্দীন (৪৫) নামের এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ ও আনসার সদস্য মনির আহত হন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার-তাহেরপুর রোডের সিরা জাংগাল মাঠের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান আলম। বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ ডাকাত ও আহত পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১ টি সাটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও ২ টি দা উদ্ধার করে।

কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান আলম জানান, সোমবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার মিঠাপুকুর গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাসির উদ্দীনকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় ৮ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে বারবাজার-তাহেরপুর রোডের সিরা জাংগাল মাঠের মধ্যে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে ডাকাত নাসির উদ্দীনের সদস্যরা পুলিশের উপর গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের বন্দুক যুদ্ধের সময় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান নাসির উদ্দীন। এ সময় আহত হয় থানার কনস্টেবল সোহাগ ও আনসার সদস্য মনির হোসেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পুুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১ টি সাটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও ২ টি দা উদ্ধার করে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মাহাফুজুল আলম সোহাগ জানান, পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।



বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: