এবার জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাবে পুরুষ!

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ১২:৪০ এএম

অনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে আবিষ্কার করেছেন পুরুষের জন্য উন্নতমানের গর্ভনিরোধক পিল; যা অধিক কার্যকর। মানবদেহে পেপটাইট নামক একটি উপাদান ব্যবহারের ফলে দেহের বিভিন্ন কোষ পরিবর্তনশীলভাবে কাজ করে। যার ফলে পুরুষের বীর্যের কার্যকারিতা সাময়িক সময়ের জন্য নষ্ট হয় এবং যৌন মিলন করলেও স্ত্রীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

গবেষণায় এ উপাদান ব্যবহারের পর দ্রুত ও তাৎক্ষনিক ফলাফল পেয়ে বিজ্ঞানীরা অভিভূত হয়েছেন।

যৌন মিলনের কয়েক মিনিট কিংবা কয়েক ঘণ্টা আগে এটি সেবন করলে গর্ভধারণের আর কোনো ঝুঁকি থাকে না। এটি ‘ন্যাসাল স্প্রে’ এর মতো সেবন করা যায়। ফলে দ্রুত কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায় বলে বিজ্ঞানীরা দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যক্ত করেন।

সাধারণত নারীরা মাসের পর মাস জন্মনিরোধক পিল খেয়ে থাকেন। এ কারণে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। গবেষকরা বিশ্বাস করেন, এ পিলের কার্যকারিতা সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় এবং প্রভাব থাকে বেশ কিছু দিন ধরে।

পরিবার পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেক্ষেত্রে স্ত্রীরা জন্মনিয়ন্ত্রন পিল সেবন করতে চান না কিংবা আপত্তি প্রকাশ করেন; সেক্ষেত্রে পুরুষের জন্য তৈরি এ স্বল্প মেয়াদী পিল পুরুষরা সাচ্ছন্দ্যে সেবন করতে পারেন। এতে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই।

যুক্তরাজ্যের ওলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট গবেষক ও অধ্যাপক জন হাউল বলেন, ইতোমধ্যে ল্যাবের গবেষণায় তাৎক্ষনিক ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে, যা দম্পত্তিদের জন্য খুবই স্বস্তির খবর। ফলাফল ছিল খুবই অভিভূত এবং ইতিবাচক।

ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘যখন আপনার স্পার্ম আমাদের ল্যাবে দেবেন, কিছু সময়ের মধ্যে আপনার স্পার্মগুলোর গতিশীলতা এবং কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে।’

পর্তুগালের এক বিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করার সময় সবাই মিলে এর নাম দিয়েছেন ‘সেল পেনেট্রেটিং পেপটাইট’। হাউল আরো বলেন, এটা একটা আলাদা দুঃসাহসিক কাজ, যা এর আগে কেউ করতে সক্ষম হননি।

পেপটাইট হচ্ছে অ্যামিনো এসিডের সংক্ষিপ্ত মাত্রা। এটি মানবদেহের অভ্যন্তরীণ কোষগুলোতে প্রভাব বিস্তার করে। কোষগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই ঘটে। তবে কৃত্রিমভাবেও একে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

প্রায় অর্ধেক বিবাহিত পুরুষ তার সঙ্গিনীর সুবিধার্থে এ পদ্ধতি গ্রহণ করবে বলে গবেষকরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করেন। আরো ভিন্ন গবেষনায় বলা হয়, এ পদ্ধতি ইনজেকশনের মাধ্যমেও গ্রহণ করা যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: