কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে কারচুপির অভিযোগ বিএনপির

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৬, ০৬:২৮ এএম

রাঙামাটি: ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি ও জাল ভোটের অভিযোগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে ১২ নভেম্বর শনিবার শেষ হয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ৬৩৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতিকে পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট। স্বতন্ত্রপ্রার্থী ইব্রাহিম হাবিব মিলু পেয়েছেন ১৬৯ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৮৩ ভোট।

এ দিকে জাল ভোট ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন। শনিবার দুপুরে ভোট চলাকালীন তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

এর আগে সকাল ৮টায় ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ কেন্দ্রে সরকার সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া আর কোন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের উপস্থিতি ছিলো না। নির্বাচনী এলাকায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ও আনসার এর পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

কেআরসি স্কুল কেন্দ্রের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান মিলুর এজেন্ট রাজিয়া বেগম অভিযোগ করেন সকাল সাড়ে সাতটায় ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ পাওয়ার জন্য আসলে নৌকা প্রতীকের কিছু লোক তাঁকে আটক করে রেখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে দেড় ঘন্টা পর তিনি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।

নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের কোন সুষ্ট পরিবেশ ছিলো না। সরকার দলীয় প্রার্থী আমাকে আমার কর্মী সমর্থকদের ভয় ভীতি দেখিয়ে প্রচারনায় বাধা সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়াও প্রেস থেকে সরকার সমর্থকরা তার নির্বাচনী পোষ্টার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সরকার দলীয় ক্যাডাদের হুমকির মুখে কেউ বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট হতে রাজি হননি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ব্যাপক কারচুপি ও জাল ভোটের অভিযোগ করলেও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বেবি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ন ছিলো দাবি করে বলেন, জনগণ আওয়ামীলীগের উপর আস্থা রেখে আমাকে নির্বাচিত করেছে।

ভোট কেন্দ্রে অন্য কোন চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বা অন্যান্য প্রার্থীর কোন প্রভাব নেই বলে তারা নির্বাচনী এজন্ট দেয়নি। বিএনপি প্রার্থী তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে জেনে নির্বাচনী এজেন্ট দেয়নি।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এরা হলেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকে আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের জাকির হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখা প্রতীকে মো হারুনুর রশীদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে ইব্রাহীম হাবিব মিলু।

৯ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৩০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৫৪০জন।

উল্লেখ্য, সীমানা জটিলতার কারণে এর আগে নির্ধারিত সময়ে রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করে আদালত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: