পলাতক আসামী ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সভা করলেন ইউএনও
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার সাঁথিয়ায় ভিজিএফের চাল চুরির মামলার পলাতক আসামী ইউপি চেয়ারম্যান হারুনের সঙ্গে সভা করলেন ইউএনও। বিষয়টি সাঁথিয়ার সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সাঁথিয়া থানা পুলিশ নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ কে পলাতক দেখালেও আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা হল রুমে নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা করেন মামলার পলাতক আসামী। ‘পুলিশের দাবি তাকে আমরা দেখিনি’।
জানা যায়, হত-দরিদ্রদের জন্য ভিজিএফের ১২৯ বস্তা (ছয় হাজার চারশ কেজি) চাল গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাগডেমরা ইউনিয়নের স্থানীয় গোডাউন থেকে উদ্ধার করেন পুলিশ ও ইউএনও। উদ্ধারকৃত সরকারী চাল অবৈধ ভাবে ব্যবসায়ী শ্যামল দাসের নিকট বিক্রয়ের অপরাধে ওই দিনই উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আবুল কালাম বাদী হয়ে ৭ জনের নামে মামলা করেন।
মামলার আসামীরা হলেন গোডাউন মালিক সোনাতলা গ্রামের মৃত ধিরেন্দ্র নাথের ছেলে শ্যামল দাস, নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, নান্নু মিয়া, মমিন উদ্দিন, মিঠু ও আব্দুল মতিন। আসামী শ্যামলকে ঘটনার দিন আটক করলেও দীর্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ বাঁকী আসামীদের পালাতক দেখিয়ে গ্রেফতার এড়িয়ে চলছে বলে এলাকাবাসীর দাবি।
এদিকে আজ বুধবার উপজেলা হল রুমে নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির এক মত বিনিময় সভায় চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদকে দেখা যায়। সভায হারুন-অর রশিদ উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন এবং তার পিছনে মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদকে বসে থাকতে দেখা যায়।
মামলার বাদীকে পলাতক আসামী সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হলে, তিনি বলেন আসামীরা জামিনে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাশেম জানান, চেয়ারম্যান হারুন জামিনে নেই। আমরা তাকে খুঁজছি। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিষয়ে আমাদের জানা নাই।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: