যেভাবে ফাইনালে উঠেছে ঢাকা

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৩:১৬ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০১৬ ধারাবাহিক ভাল খেলে ফাইনালে উঠেছে ঢাকা ডাইনামাইটস। বিপিএলের ৪র্থ আসরে ঢাকার প্রতিপক্ষ রাজশাহী। গ্রুপ রাউন্ড শেষে ঢাকার শীর্ষে থাকাই প্রমাণ করে কতটা ধারাবাহিক ছিল ঢাকা?

১২ ম্যাচে আট জয় আর চার হার নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকার কারণে খুলনার সঙ্গে কোয়ালিফায়ার খেলে সাকিবরা। আর কোয়ালিফায়ারে জিতে ৩য় বারের মত ফাইনালের টিকেট কাটে দলটি।

ব্যাটে বলে দারুণভাবে লড়েছে ঢাকা, যার ফল ফাইনাল। ব্যাটিং এর দিক দিয়ে ঢাকার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ওপেনার মেহেদি মারুফ। ১৩ ম্যাচে ১৩ ইনিংস খেলে এই রান পকেটে পুরেছেন ঢাকার ফর্মে থাকা এই মারকুটে ওপেনার। তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৭৫ নটআউট। ১৩ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ চার আর ২০ টি ছক্কা। আর তার ১৩৭.৮০ এর স্ট্রাইকরেটও জানান দেয় তার বড় শট খেলার সামর্থ্যের। করেছেন দুইটি ফিফটি। তার ব্যাটিং এভারেজ ২৮.২৫।

এরপর আছেন শ্রীলংকান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা। ঢাকার হয়ে ১২ ম্যাচে ৩৩৪ রান করেছেন এই ব্যাটিং গ্রেট। তার ব্যাট থেকেও আসে দুইটি ফিফটি । ৪১ চারের সাথে আসে চারটি ছক্কা। ২৮ ছুঁইছুঁই ব্যাটিং এভারেজ আর ১১৭ রানের স্ট্রাইকরেট যে কোন ব্যাটসম্যান কিপারের জন্যই ঈর্ষণীয়।

এছাড়া ঢাকার অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ২৯৯ রান করেছেন মোসাদ্দেক। ২১৪ রান করেছেন অধিনায়ক সাকিব। নাসিরের ব্যাট থেকে আসে ১৯০ রান। দেশি ব্যাটসম্যানরাই নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকার ব্যাটিং এর।

অধিনায়ক সাকিব উইকেট নিয়েছেন ১১টি। সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার ঢাকার আবু জায়েদ। তার ইকোনমি ৫.৪৫। অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব ভালই নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক হিসেবে এটাই তার প্রথম ফাইনাল। তবে রাজশাহীর সাথে এইবার এক ম্যাচেও জয় পায় নি ঢাকা।

ঢাকার হয়ে চার বা পাঁচ উইকেট পান নি কোন বোলারই, সেঞ্চুরি করেন নি কোন ব্যাটসম্যানও। হয়ত ফাইনালেই ঘুচবে সেই অভাব। আর তাই অপেক্ষা শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। এদের থেকেই কেউ জ্বলে উঠবেন নাকি কোন নতুন তারকা জিতাবেন ফাইনাল তা ত সময়ই বলবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ঢাকা সমর্থ্যকদের মনে থাকুক ‘জিতবে ঢাকা, দেখবে দেশ’।

অন্যদিকে বোলিং এ সবার উপরে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান রিক্রুটমেন্ট ডোয়াইন ব্রাভো। ২০ উইকেট নিয়ে সবার উপরে এই এন্টারটেইনার। ১২ ম্যাচ খেলে ১৫.৭৫ গড়ে উইকেটগুলো তুলে নেন এই টি টয়েন্টির ফেরিওয়ালা। বেস্ট বোলিং ফিগার ৩/১০। তার ইকোনমি ৭.৬৫। এরপরই আছেন দুর্ভাগা মোহাম্মদ শহীদ। ইঞ্জুরির ছোবলে মাত্র আট ম্যাচ খেলে মাঠের বাইরে চলে যান জাতীয় দল থেকে ছিটকে পরা এই ইনফর্ম পেসার। আট ম্যাচে ১২.৪৬ গড়ে ১৫ উইকেট তার ঝুলিতে। ইকোনমি ৬.৮৮ আর স্ট্রাইকরেট ১০ এর কিছুটা ওপরে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: