যার কোমরের ঠুমকায় অবশ পুরুষ (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৫৫ পিএম

বিনোদন ডেস্ক: নিখুঁত সৌন্দর্য। সঙ্গে মাতাল করা গান। তাঁর কোমরের ঠুমকায় অবশ পুরুষ— এটাই আপাতত গোলাপ বাঈয়ের ওয়ান লাইনার স্কেচ। শীতের কলকাতাও বুঁদ গুলাবের ‘দিল রসিয়া রে’-তে। সৌজন্যে পরিচালক অরিন্দম শীলের ‘ব্যোমকেশ পর্ব’। প্রোমোশনের ব্যস্ততা সামলেও অরিন্দমের গোলাপ, অর্থাৎ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর গোলাপ হয়ে ওঠার অন্দরের গল্প শেয়ার করলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্যকে।

‘ব্যোমকেশ পর্ব’-এ গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স, অথচ আপনিই তো আলোচনার মধ্যমণি।
(হাসি) ব্লেসড। দারুণ লাগছে।

কেমন লাগল কাজ করে?
বলতে পারেন আমার কেরিয়ারের মোস্ট মেমরেবল এক্সপিরিয়েন্স। নাচের জন্য তো বটেই। আমার একটা ছোট্ট সিন রয়েছে, সেটা নিয়েও খুব এক্সাইটেড ছিলাম।

সায়ন্তিকা টু গোলাপ— জার্নিটা কেমন?
এই ছবিতে আমি একজন ভোজপুরী মহিলা। ডায়লগও বিহারী, ভোজপুরীতে বলতে হয়েছে। ফলে উচ্চারণ ঠিক রাখা খুব জরুরি ছিল। অরিন্দমদা বলেছিল, কোনও ভাবেই যেন ডিসকমফর্ট বোঝা না যায়। সে ভাবেই প্র্যাকটিস করেছিলাম। অরিন্দমদা নিজে তো খুব ভাল অভিনেতা। আমাকে যেমনটা দেখাত, তেমনটাই করতাম। অরিন্দমদাই আমার আয়না।

আপনি তো টলিউডে ইতিহাস তৈরি করলেন। সরোজ খানের কোরিওগ্রাফিতে প্রথম কাজ…
(দারুণ উচ্ছ্বসিত) সরোজজির কথা যখন প্রথম ফোন করে অরিন্দমদা বলল আমি বলেছিলাম, ইয়ার্কি কোরো না। বলে বোঝাতে পারব না, আই ওয়াজ ওভারহোয়েলমড্। মাত্র আট ঘণ্টায় গানটা শ্যুট করেছিলাম আমরা। আসলে সরোজজি যাতে ভাল কিছু ইমপ্রেশন নিয়ে ফেরত যান, সেটা টিমের সকলের মাথায় ছিল।

সরোজ খানের কাছ থেকে কী শিখলেন?
আই অ্যাম স্টিল থার্স্টি। মনে হচ্ছে আরও যদি শিখতে পারতাম। একটা অদ্ভুত বিষয় জানেন, উনি কখনও মনিটর দেখেন না, আর্টিস্টকে দেখেন। আর্টিস্টের দিকে তাকিয়েই অ্যাকশন, কাট বলেন। ওঁর চোখটাই হয়তো এখন মনিটর। সরোজজির ছোট ছোট এক্সপ্রেশনগুলো শেখার মতো।
সেটে সায়ন্তিকা কি আবিরকে ঘায়েল করল, নাকি গোলাপ ব্যোমকেশকে?

একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। মেনস্ট্রিম ছাড়া অন্য ধারার ছবিতে আপনাকে দেখা যায় না কেন?
দেখুন, আমি সব ছবিতেই কাজ করতে চাই। এখনকার দিনে ওই থিমলাইনটাও কোথাও মুছে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। তবে এখন আর শুনতে চাই না লোকে বলছে সায়ন্তিকা তোমাকে দেখতে খুব গ্ল্যামারাস লেগেছে। শুনতে চাই, তুমি দারুণ অভিনয় করেছে। আমাদের শেখার তো কোনও শেষ নেই। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বরদা, কৌশিকদা, টোনিদা, বিরসাদা— সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। দেখা হলে সে কথা বলেওছি। অরিন্দমদাও তো বলেছে, এই সবে শুরু। এরপর আমরা নিশ্চয়ই একসঙ্গে আরও ছবি করব।

টলিউডের ‘গার্লস গ্যাং’-এর হোয়াট্‌সঅ্যাপে আপনি আছেন। সেখানে সকলেই নায়িকা। কখনও প্রতিযোগিতা তৈরি হয়নি আপনাদের মধ্যে?

কখনও না। কোনও প্রতিযোগিতা নেই আমাদের। বরং দারুণ আন্ডারস্ট্যান্ডিং।

এই উত্তর কেউ বিশ্বাস করবে? নায়িকাদের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা নেই!

বিশ্বাস না করলে কী করব বলুন? এটাই তো সত্যি। একটা ঘটনা বলি, আরও ভাল বোঝাতে পারব। সরোজজির সঙ্গে যখন শুটিং চলছে, তখন আমার হাঁটুতে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল। সে সময় মিমি, নুসরত বার বার ফোন করে খোঁজ নিয়েছে। কখনও বলেছে, আইসপ্যাক দে, কখনও বলেছে পেন কিলার খা— এগুলো সমানে করে গিয়েছে ওরা। কতটা ভাল বোঝাপড়া থাকলে এটা হয় বুঝতেই পারছেন। আমরা সকলে হার্ড ওয়ার্কিং। আমরা জানি আমার কাজ আমার থাকবে, আর ওদেরটা ওদের।

তৃণমূলের প্রায় সব অনুষ্ঠানেই তো থাকেন আপনি, সক্রিয় রাজনীতিতে আসছেন?
মমতাদির প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি যাই। দিদি আমাদের প্রত্যেককে খুব ভালবাসেন। তবে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার কোনও প্ল্যান নেই।

জিৎ না দেব? কার সঙ্গে আপনার ইকুয়েশন ভাল?
(ওরে বাবা) গানপয়েন্টে রাখলেও এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না। একটা নাম বাছতেই পারব না। দু’জনেই আমার সিনিয়র। দু’জনেই খুব ক্লোজ।

আপনার কোনও স্বপ্ন রয়েছে?
আমি এখন যে সময়টার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এটাই আমার স্বপ্ন। লিভিং মাই ড্রিমস। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: