অল্প খরচে বিদেশ গমনের প্রলোভন দেখাতেন তারা

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৭, ১০:৫১ এএম

প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বপ্ল আয়ের মানুষদের অল্প খরচে বিদেশ গমনের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ পাঠানোই তাদের টর্গেট ছিল বলে জানিয়েছে মানবপাচারকারী অভিযোগে আটককৃত আসামী বাদশা।

বাদশা জানায়, তাদের চক্রের সদস্য মতি, মিজান ও অন্যান্যরা লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাদের আয় খুবই স্বল্প তাদের বিভিন্ন ভাবে লোভ দেখিয়ে বিদেশ গমনের আগ্রহ হিসেবে গড়ে তোলে।সে মালয়েশিয়া হতে হালিমের নির্দেশনায় কয়েকটি ট্রাভেল এ্যাজেন্সীর বৈধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যতীত বিমানের টিকিট সংগ্রহ করে।

মানবপাচারকারী অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, বাদশা শেখ (৩৮), মামুন(২৪), রিপন হোসেন(২৯), নাসির উদ্দিন(৩৭), মনিরুজ্জামান(৩৬), সজল কুমার বাইন(৩৫), নাসির উদ্দিন(৫৩), আহসানুজ্জামান সোহাগ(২৮), রাজিব(৩২)।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৩ মার্চ। ওই দিন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে একদল আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্র বাংলাদেশের সাতজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে প্রথমে ইন্দোনেশিয়া, সেখান থেকে নৌপথে মালয়েশিয়া পাচার করবে।

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে স্বল্পকালীন ট্যুরিস্ট ভিসায় তাঁদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এ ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ বিমানবন্দর এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নয় অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে।

পরে তাদের কাছ হতে পাওয়া তথ্য অনূযায়ি র‌্যাব তাদের গোয়েন্দা অভিযান চালায়। অভিযানে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার র‌্যাব দেশে এই কার্যক্রমের মূল পরিচালক মো. বাদশা মিয়াকে আটক করে। পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে মানবপাচারে সম্পৃক্ত আরো আট জনকে আটক করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: