ক্রমাগত ব্যর্থদের অনুপ্রেরনার নাম জ্যাক মা

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১১:৫১ পিএম

প্রাইমারিতে দুইবার ফেল, মাধ্যমিকে তিনবার ফেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় তিনবার ফেল, চাকরির জন্য পরিক্ষা দিয়ে ৩০ বার ব্যর্থ হয়েছি আমি। চীনে যখন কেএফসি আসে তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করে৷ এর মধ্যে২৩ জনের চাকরি হয়৷ শুধুমাত্র একজন বাদ পড়ে, আর সেই ব্যক্তিটি আমি৷

সম্প্রতিক বছর গুলোতে বাংলাদেশে কিছু উচ্চ শিক্ষিত বেকার ৪/৫ বছর চেষ্টার পরও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যার মধ্যে একজন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পড়তেন ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞাণ বিভাগে। যারা জীবনের শুরুতেই কিছু ব্যর্থতার কারণে জীবন থেকে চিরবিদায় নিতে চাইছেন তাদের জন্যই এই প্রেরনাদায়ক সাফল্যের গল্প।

এমনও দেখা গেছে চাকরির জন্য পাঁচ জন আবেদন করেছে তন্মধ্যে চার জনের চাকরি হয়েছে বাদ পড়েছি শুধুই আমি৷

প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি৷ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০বার আবেদন করে ১০বারই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি৷এতক্ষণ যার কথা বলেছি তিনি হলেন পৃথিবীর অন্যতম বড় অনলাইন ভিত্তিক কম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জ্যাক মা৷ তার জন্ম চীনের জিজিয়াং প্রদেশে৷ফোবর্স ম্যাগাজিনের হিসেবে জ্যাক মা পৃথিবীর ৩৩ তম ধনী ব্যক্তি৷

তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২১দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার৷ জ্যাক মার জীবনে এতবার ব্যার্থ হওয়ার পরও বড় হওয়ার, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশা থেকে বিন্দু মাত্র পিছপা হন নি৷ অবিরাম চেষ্টা চিলিয়ে তিনি আজকের অবস্থানে এসেছেন৷ যেই জ্যাক মা চাকরির জন্য ৩০ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন সেই জ্যাক মার প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ডটকম চীনে নতুন করে ১৪ মিলিয়ন চাকরি তৈরি করেছে৷ জ্যাক মা যখন আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেন তখন সবাই তাকে পাগল বলত৷ টাইম মেগাজিনে জ্যাক মা কে পাগল জ্যাক বলে অভিহিত করেছিল৷

কিন্তু জ্যাক মা আশাহত হন নি৷ তিনি চলেছেন আপন গতিতেই৷ আমাদের মত যুবকদের সামনে রয়েছে অফুরন্ত সময়৷ আর সেই সময়কে কাজে
লাগিয়ে আমরাও হতে পারি পৃথিবী বাসির কাছে অনুসরণীয় ব্যাক্তি৷নিজেকে উদাহরণের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি৷ পরিশেষে জ্যাক মার একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই৷ তিনি বলেছিলেন- “আমার মনে হয় পাগল হওয়া ই ভাল৷আমরা পাগল কিন্তু নির্বোধ নই”

সম্প্রতিক বছর গুলোতে বাংলাদেশে কিছু উচ্চ শিক্ষিত বেকার ৪/৫ বছর চেষ্টার পরও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যার মধ্যে একজন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পড়তেন ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞাণ বিভাগে। যারা জীবনের শুরুতেই কিছু ব্যর্থতার কারণে জীবন থেকে চিরবিদায় নিতে চাইছেন তাদের জন্যই এই প্রেরনাদায়ক সাফল্যের গল্প।

লেখার শেষে একটি কথাই বলতে চাই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উইনস্টন চার্চিল তার হতাশাগ্রস্থ সেনাদের উদ্দ্যেশ্যে এ বিশেষ বক্তেব্যে একটি কথায় বলেছিলেন, ‘ Never Give up’ অর্থাত হাল ছেড়ো না। কেননা যেকন কিছুর চেয়েও জীবনের মূল্য অনেক অনেক বেশ্ সেখানে সফল ও সুখী হওয়াটাই চূড়ান্ত লক্ষ্য। তাই হাল ছেড়ে না দিয়ে ক্রমাগত চেষ্টা করে যাওয়াটাই আসল। কারন ভাগ্য বিধাতা সবসময়ই পরিশ্রমীদের পাশে থাকেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: