রাস্তায় গাছ ফেলে ২৫ গাড়িতে গণডাকাতি

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৭, ১০:৫৫ এএম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সড়কের ঘোড়ামারা ব্রিজের অদূরে সড়কে গাছ ফেলে দীর্ঘ সময় ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত সদস্যরা ঢাকাগামী তিনটি নৈশকোচসহ অন্তত ২৫ টি গাড়িতে লুটপাট চালায়। ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছে তিনজন। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলমডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনটি চুয়াডাঙ্গা আসার সময় ঘোড়ামার ব্রিজের অদূরে ডাকাতির কবলে পড়ে। ডাকাত সদস্যরা সড়কের পাশের গাছ ফেলে বেরিকেড দিয়ে গাড়ির চালককে জিম্মি যাত্রীদের সর্বস্ব লুটিয়ে নেয়। একই ভাবে ঢাকাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহন, পূর্বাশা পরিবহন, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পিক-আপ ভ্যানসহ ২৫ টি যানবাহনে লুটতরাজ চালায় ডাকাতদল।

ডাকাতির কবলে পড়া মাইক্রোবাসের যাত্রী সুভাষ চ্যাটার্জি জানায়, কুষ্টিয়া থেকে ফেরার পথে ডাকাতের কবলে পড়েন তারা। এসময় গাড়িতে থাকা স্ত্রী, বোন, মাসহ তাদের শরীরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে ডাকাতরা।

রয়েল এক্সপ্রেসের যাত্রী আমজাদ হোসেন জানান, সাত থেকে আটজন ডাকাত সদস্য মুখ বাঁধা অবস্থায় ডাকাতিতে অংশ নেয়। তাদের হাতে এ সময় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র ছিল। ডাকাত সদস্যদের হামলায় রয়েল পরিবহনের চালক শামীম হোসেন ও একটি ট্রাকের হেলপার আব্দুল হামিদসহ তিনজন আহত হয়েছে।

রয়েল পরিবহনের চালক শামীম হোসেন অভিযোগ করেন, প্রতিদিন ঘোড়ামার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের একটি টহল পার্টি থাকার কথা থাকলেও ডাকাতির সময় কোন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে ছিলো না। আর এ কারণেই প্রায় আধাঘন্টা ধরে ডাকাত সদস্যরা নির্বিঘ্ন তান্ডব চালাতে সক্ষম হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার ওই সড়কে টহলের দায়িত্বে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এএসআই হাফিজ উদ্দিন। কিন্তু ডাকাতির সময় তাকে পাওয়া যায়নি।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম ডাকাতির শিকার যানবাহনের সংখ্যা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: