এক ছোবলেই নিঃশেষ ৮০ হাজার মানুষ! (ভিডিও)

প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০১৯, ০৭:২১ পিএম
বিষধর সাপের কাড়মে মাঝে মধ্যে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে প্রতি বছর কী পরিমাণ মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় তার পরিসংখ্যান পাওয়া যায় খুবই কম। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। ডাব্লিউএইচও বলছে, সাপের কামড়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। বিশেষ করে ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার বেশি। আর উন্নত দেশে এ সংখ্যা অনেক কম। সব মিলিয়ে বিষধর সাপ রীতিমতো ভয়ের কারণ। প্রতি বছর হাজারে ১০ জন মানুষ সর্পদংশনের কবলে পড়ে প্রাণ হারান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সাপের কামড়ে আফ্রিকা, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বেশি মৃত্যুর কারণ, চিকিৎসা পর্যাপ্ত নয়। তার সঙ্গে রয়েছে কুসংস্কার। এই কারণে ৮০ শতাংশ ছোবল খাওয়া ব্যক্তি ভরসা করেন ঝাড়ফুঁক ও ওঝার ওপরেই। সেই কারণে বাড়ছে মৃত্যু। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাপ খুবই ভীতু প্রাণী। ভয় থেকেই সে কামড়াতে আসে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এই ধরণের মৃত্যুর সংখ্যা বছরে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখের মতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭০ হাজারের মতো মানুষ সাপের কামড় খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার জনের মৃত্যু হয়। তবে এই পরিসংখ্যানও ঠিক নয়। সঠিক হিসেবে এই সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করছে বিশ্ব সংস্থাটি। সঠিক চিকিৎসা ও বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনামের অভাব থাকায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। আর এজন্য ২০৩০ পর্যন্ত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ‘হু’। এই পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য, অ্যান্টিভেনাম ও চিকিৎসার ব্যবস্থা বাড়িয়ে সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সাপের ছোবলে মৃত্যুর হার উদ্বিগ্নজনক। ২০০৫ সালে ভারতে সাপের কামড়ে প্রায় ৪৫ হাজার ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশটির সরকারি হিসাবের চেয়ে এ সংখ্যা ৩০ গুণ বেশি। অন্যদিকে আমেরিকা ও ইউরোপে সাপের কামড়ে নিহতের সংখ্যা কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মাত্র ৫ জনের মৃত্যু হয়। ইউরোপের অনেক দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়ই না বললে চলে। বিশেষজ্ঞরা সর্পদংশনের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ ধরণের জুতা ও সাপের প্রাদুর্ভাব আছে এমন অঞ্চল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। https://youtu.be/EUN9gTfofsM

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: