‘রাস্তা আছে যেখানে, রিকশা চলবে সেখানে।’ ভিআইপি ও ডিআইপি মানবো না। এমন কথাই জানাচ্ছেন খেটে খাওয়া রিকশা চালকরা। তাদের ভাষ্য, আমাদে পেটে লাথি মারতে পারে না ঢাকার মেয়ররা। আমাদের অন্য কোন কর্মসংস্থান নেই। আমরা মেয়রদের এমন অবৈধ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য নয়। রিকশা চালক আকবর (৪৬)। বাড়ি জামালপুরের নান্দিনা। তিনি বলেন, ২০ বছর যাবত ঢাকায় রিকশা চালাই। রিকশা চলবে যেকোন রোডেই। এটা বন্ধ করা যাবে না। আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও খাওয়া-দাওয়া চলে এই টাকায়। তাই এটা বন্ধ হলে আমরা বেঁচে থাকবো কিভাবে?
সোমবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভ করেন রিকশা চালকরা। এসময় তারা এসব কথা বলেন।
গত ৩ জুলাই ডিএসসিসির নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটি (ডিটিসিএ) গঠিত কমিটির এক বৈঠক শেষে মেয়র সাঈদ খোকন এ ঘোষণা দেন। এরপর রবিবার (৭ জুলাই) থেকে রাজধানীর তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার রাজধানীর মালিবাগ, সায়েদাবাদ, মুগদা, মানিকনগর, মান্ডাসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন রিকশা চালকরা। এসময় তারা রিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এছাড়া গাবতলী থেকে মিরপুর রোড হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এবং কুড়িল থেকে বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত প্রধান সড়কে রিকশা চলতে দেয়া হচ্ছে না। তবে এসব সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তাগুলোতে শুধু সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন পাওয়া রিকশা চলাচল করতে পারবে।
এদিকে আজ সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টায় মুগদা এলাকায় সড়ক অবরোধ করায়, ঐ এলাকাসহ আশপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে অফিসগামী মানুষের মাঝে দুর্ভোগ তৈরি হয়। এসময় সাধারণ মানুষও মেয়রদের রিকশা বন্ধের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, খেটে খাওয়া রিকশা চালকরা কিভাবে তাদের সংসার চালাবে?
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, যেসব সড়কে যান্ত্রিক পরিবহন চলে সেসব সড়কে রিকশা চলতে দেয়া হবে না। এর কারণে শুধু যে যানজট হচ্ছে তা নয়, দুর্ঘটনারও শঙ্কা থাকে।
পাঠকের মন্তব্য: