নাটোরের বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মালার আসামী শুটার মানিক নিহত

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯, ০৮:৩৩ পিএম
নাটোরের লালপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বড়াই গ্রামের কলেজ ছাত্র আল আমিনকে গুলি করে হত্যা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই এবং ডাকাতিসহ ১৫টির অধিক মামলার আসামী শুটার মানিক ওরফে বাসু মানিক ওরফে সুমন (৪৮) নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পূর্বটেংরী শেরপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের এই তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, গত ৫ জুলাই বড়াইগ্রামে কলেজ ছাত্র আল আমিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার পর তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেই চক্রের সদস্য শুটার মানিককে শুক্রবার পাবনার রুপপুর থেকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঈশ্বরদীর একটি বাড়ি থেকে আল আমিনের ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শুটার মানিক লালপুরের অলোক বাগচিকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ও এক অটো চালককে গুলি করে অটো ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার সহযোগী অন্যরা শুক্রবার রাতে লালপুরে ডাকাতি করবে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে অন্য সহযোগীদের ধরতে শুক্রবার রাতে নাটোরের লালপুরে যাওয়ার পথে উপজেলার তোফাকাটা মোড় এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালায় মানিকের সহযোগীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এই সুযোগে মানিক পালানোর চেষ্টাকালে ক্রস ফায়ারে সে গুলিবিদ্ধ হয়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মানিকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে পুলিশ লালপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তল্লাশী করে ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ব্যবহৃত চার রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশী পিস্তল, গুলির খোসা ৬ রাউন্ড, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কার্টার, হাতুরি, টর্চ লাইট ও লোহার রডসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: