নির্ধারিত ৫০ ওভারে ম্যাচ টাই। তার পরে সুপার ওভারও টাই। কিন্তু ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার জন্যই রুদ্ধশ্বাস বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে শিরোপা জিতে ইংল্যান্ড। প্রথমবার বিশ্বকাপ ট্রফি ইংল্যান্ডের ঘরে এল এই ম্যাচের নায়ক অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের হাত ধরে।
নিউজ়িল্যান্ডেই স্কুল জীবনের শুরুটা কাটিয়েছেন বেন স্টোকস। এখনও তাদের বাড়ি রয়েছে সেখানে। সে কথা মনে উঠতেই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।
মূল ম্যাচের নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৮ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর সুপার ওভারে করেছেন আরও ১০ রান। শতরান করতে পারেন নি, কিন্তু স্টোকসের এই ৯৪ রান ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছে প্রথম বিশ্বকাপ। স্বাভাবিকভাবেই ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ এর পুরস্কার পেয়ে যান স্টোকসই।
তবে বিজয়ের আনন্দের পাশাপাশি একটা দাগ কি রয়ে গেল বেন স্টোকসের মনে? নির্ধারিত ৫০ ওভারের শেষ ওভারের খেলা চলছিল। ৫০তম ওভারের চতুর্থ বলে ২ রানের জন্য দৌড় দেন স্টোকস। দ্বিতীয় রান পূর্ণ করার সময় প্রাণপণে লাফ দেন স্টোকস। মিডউইকেটে বাউন্ডারি থেকে বল ছুড়ে মারেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল। সেই থ্রো স্টোকসের ব্যাটে লেগে পেরিয়ে যায় বাউন্ডারি। হতাশায় শূন্যে দুহাত তোলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে দুহাত তুলে বসে পড়েন বেন স্টোকসও। ইংল্যান্ড পেয়ে যায় অতিরিক্ত চারটি রান। এক বলে মোট ছয় রান পায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচের পর স্টোকস ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। স্টোকস বলেন, ‘আমি কেন উইলিয়ামসনকে বলেছি, ওই ঘটনার জন্য আজীবন ক্ষমা চেয়ে যাব।’
ছবি: ইন্টারনেট
শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেয়া এই অলরাউন্ডার স্টোকস তার স্ত্রীর সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। আনন্দঘন এমন মুহূর্তে কি পরিবারকে ভুলে থাকা যায়? তাই প্রিয়তমা স্ত্রীর মুখে একে দিচ্ছেন ভালোবাসার নিদর্শন।
পাঠকের মন্তব্য: