রিফাত হত্যা তদন্তে আস্থা নেই মিন্নির বাবার

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯, ০৪:৪০ পিএম
বরগুনার সদর কলেজ গেটের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা বলেছেন, পুলিশের তদন্তে তিনি আস্থা রাখতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘পুলিশের প্রবল চাপের মুখে মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য হয়েছে। সত্য একদিন প্রকাশ হবেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে কোনোভাবেই খুনের সঙ্গে জড়িত নয়। খুনিদের পক্ষে আছে রাজনৈতিক প্রভাব ও টাকা। এর কাছে সত্যের পরাজয় আর মিথার জয় হবেই।’ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী। তিনিই এই মামলার প্রধান সাক্ষী। কিন্তু সাক্ষী হিসেবে তথ্য নেয়ার কথা বলে মিন্নিকে যেভাবে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন। থানায় নিয়ে বারো ঘণ্টা জেরা করার পর যেভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা তার কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছে। মি. হোসেন অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের যারা স্থানীয় রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন যারা তারা এই মামলার তদন্তকে প্রভাবান্বিত করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। তার মেয়েকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে কি না, তিনি সেই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি আরও দাবি করে বলেন, ‘এই চাঞ্চল্যকর খুনের মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে হস্তান্তর করা হউক।’ ওদিকে, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগেই শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদিকে বরগুনা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, মিন্নি সেখানে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তদন্তে তারা ঐ হত্যাকাণ্ডে নিহত মি. শরীফের স্ত্রীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, তদন্তের জন্য তারা পাঁচদিনের রিমান্ড চাইলেও তৃতীয় দিনের মধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদি পেয়ে গেছেন। সে কারণেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার দু'দিন আগেই তারা মিন্নিকে আদালতে হাজির করেছেন। তবে স্বীকারোক্তিতে মিন্নি কী বলেছেন সে সম্পর্কে পুলিশ কোন তথ্য দিতে রাজি হয়নি। পুলিশ মিন্নিকে গত ১৬ই জুলাই গ্রেফতার দেখায়। প্রসঙ্গত এর আগে হত্যা মামলাটির বাদী, নিহত রিফাত শরীফের বাবা, আবদুল হালিম দুলাল শরীফ গত ১৩ই জুলাই এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন যে তার পুত্রবধূও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে তিনি সন্দেহ করেন। পুলিশ তার সন্দেহের বিষয়টিকে আমলে নেয় এবং এর সূত্র ধরে তারা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকে। গত ২৬শে জুন সকালে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল লোক। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঐ ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: