হতাশ কামাররা

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০১৯, ০২:৩৮ পিএম
ঈদুল আজহার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। এক দিকে আগুনের শিখা, অন্যদিকে হাতুরি পেটানোর টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি। যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। গোসল-খাওয়া ভুলে হরদম কাজ করছেন কামাররা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদের। এ সকল যন্ত্র তৈরি করতে কয়লা ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভ করতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন ব্যবসয়ীরা। চড়া দাম দিয়ে কাঁচামাল কিনে বিক্রির সময় ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন না বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। একদিকে বেশি দাম দিয়ে কাঁচামাল ক্রয় করতে হচ্ছে, অপরদিকে তেমন বিক্রি না থাকাতে হতাশার কথা জানিয়েছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কামার শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো। বছরজুড়ে কামারপাড়াগুলোতে তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাসখানেক আগে থেকে কামারদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এই সময়টাতে তাদের দম ফেলার ফুসরত থাকে না। ঈদের আগে গরু, ছাগল, মহিষ ও অন্যান্য পশু কেনার পর থেকে সবাই এ উপকরণগুলো সংগ্রহ করে গুরুত্বের সঙ্গে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কামার শিল্পের অন্যতম বৃহৎ বাজারে দেখা মেলে এসব সরঞ্জামের সারি সারি দোকান। কিন্তু তেমন বিক্রি হচ্ছে না বলে হতাশ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন দোকানে প্রচুর মাল সংরক্ষণ করেছে দোকানিরা। একেক দোকানে যেই পরিমাণে মাল রয়েছে, সেই হারে কোন বিক্রি নেই। একাধিক দোকানে ঘুরে দেখা যায় দোকানিরা বসে আছে কিন্তু তেমন বিক্রি হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েনি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কামার শিল্প ব্যবসায়ী মো. কালাম বলেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত তেমন কোন বিক্রি হচ্ছে না। ঈদের ২ থেকে ৩ দিন আগে বিক্রি শুরু হয়। এছাড়া এবার ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। দোকানে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাল রয়েছে সেই হিসেবে কোন বিক্রি নেই। তিনি বলেন, এরই মাঝে দেশের মধ্যে ছেলেধরা নিয়ে যেই গুজব উঠছে তাতে মানুষ অনেক আতঙ্কে রয়েছে। এই জন্য মানুষ ভয়ে মাল ক্রয় করতে আসে না। এখন কি যে হয় তা বলা যাচ্ছে না, খুবই আতঙ্কে রয়েছি। কারওয়ান বাজারের আরেক ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, কাঁচামালের দাম বেড়ে গেলেও মাল বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। কারণ হচ্ছে যারা মাল ক্রয় করে তারা বিভিন্ন দোকান দেখে তারপরে ক্রয় করে। তিনি বলেন, দৈনিক আমার কারিগর সহ খরচ হয় ৫ হাজার টাকা। কিন্তু ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও বেশি ভালো না। এখনও তেমন কোন বিক্রি হচ্ছে না, কোরবানির ঈদের দু’একদিন আগ থেকে বিক্রি শুরু হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: