পঞ্চগড়ে ঝড়ের কবলে পড়ে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের পুস্প পোল্ট্রি ফার্মের দেড় হাজার মুরগীর বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে দেড় হাজার বাচ্চার মৃত্যু এবং দেড় হাজার ফিট লম্বা ঘড়টিও দুমরে মুচরে নস্ট হয়ে গেছে।
বর্তমানে ফার্মের মালিক সাইফুল (৪২) দিশেহারা, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুরগির ফার্মটি ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে। ১৩ জুলাই এর পূর্বে কয়েক ধরনের আম গাছ সহ সাজানো ফার্মটির অবস্থা বর্তমানে একেবারে নাজুক। গত চার বছর পূর্বেও সাইফুল জেমকন লিমিটেড এর একজন শ্রমিক ছিল। ২০১৫ সালে তার কিছু জমানো টাকা দিয়ে প্রায় দুই বিঘা জমিতে লোন নিয়ে এক লাখ পচাত্তর হাজার টাকা দিয়ে পেল্ট্রি ফার্মে তিনশত বাচ্চা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে।
সে সময় প্রতিমাসে ফার্ম থেকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা আয় হয়েছিল। একটি ছেলে ও তার স্ত্রী নিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করত সাইফুল। সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে কেঁদে সাইফুল বলল, আমি খুব কষ্ট করে কোন দিন না খেয়েও এই পেল্ট্রি ফার্মটি তিল তিল করে গড়েছি।
বর্তমানে আমার এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব কার কাছে হাত পাতব। অনেক কষ্টে ফার্ম করার পর কোন মাসে লাভ হইতো আবার কোন মাসে ক্ষতির সম্মুখীন হইতাম।
মুরগির বাচ্চাগুলোর সাথে বাচ্চাগুলোর সাথে খাবার (ফিড) প্রায় ষাট হাজার টাকার বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। কাজী ফার্মস লি: এর কাছথেকে নেওয়া বাচ্চাগুলোর প্রায় সত্তর হাজার টাকা এখনও আমি পরিশোধ করিনি।
কয়েকটি মুরগীর খাদ্যের দোকনের কাছে প্রায় একলাখ টাকা আমার কাছে পাওনাদার । দেড় হাজার বাচ্চা ঠিকমত লালন পালন করলে আমার ব্যাবসাটি টিকে থাকত। কিন্তু আশায় গুড়ে বালি। এ সময়ে যদি সরকার আমাকে আর্থিক সহায়তা নাকরে তাহলে হয়ত আমাকে পথে বসতে হবে। এমন একটি সময়ে আমার ফার্মটি ধ্বংস হয়েছে, সব বাধা উপেক্ষা করে এই সময়ে একটু লাভের আশা করিতেছি। ঠিক সেই মহুর্তে আমি ধ্বংস হয়ে গেলাম।
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানান সাইফুল অনেক কষ্ট করে পুস্প পেল্ট্রি ফার্মটি গড়ে তুলেছিল হঠাৎ এক ঝড়ের কবলে তার কয়েক হাজার মুরগীর বাচ্চা নষ্ট হয়েছে।
প্রতিবেশি ঔষধ ব্যাবসায়ী জানান, সাইফুল এর পেল্ট্রি ফার্মটি সেই ঝড়ের রাতে নষ্ট হওয়ায় আমরা খুব ব্যাথিত হয়েছি তারমত আর পরিশ্রমি ছেলে আমাদের গ্রামে খুব কম।
পাঠকের মন্তব্য: