সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ভারী বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯, ০৩:৫৮ পিএম
উপকুলীয় অঞ্চলে লঘুচাপের কারণে উত্তাল সাগর। এতে নদীগুলোতে বাতাসের গতিবেগ উঠে যেতে পারে ৬০ কিলোমিটারে। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ভারী বৃষ্টির আভাস দিয়ে নদীগুলোতে এক নম্বর দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে এ অবস্থায় বৃষ্টিপাত, ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে দেশের ওপর দিয়ে। তবে সার্বিকভাবে উন্নতি হচ্ছে দেশের বন্যা পরিস্থিতির। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও উন্নতি হবে। আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তাই উপকূলীয় এলাকা, বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য সমুদ্রবন্দর কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে বলা হয়েছে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে। নদীগুলোতে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার ওঠে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় নদীবন্দরগুলোতে শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ১টা পর্যন্ত এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ে ভূমি ধসের শঙ্কা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা ব্যতিত দেশের সব নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে উন্নতি হচ্ছে। তবে বড় বড় নদনদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপরেই রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি অন্তত ১৫ সেন্টিমিটার, যমুনার পানি ১৭ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি ২৭ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের পানি ৭ সেন্টিমিটার, আত্রাইয়ের পানি ৫ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমেছে। কিন্তু কুশিয়ারার পানি ৩০ সেন্টিমিটার অমলশীদে, সুরমার পানি কানাইঘাটে ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে, তবে ১৩ সেন্টিমিটার কমেছে সুনামগঞ্জে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: