জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, আগুনে সেখানে থাকা ব্যালট ইউনিট রয়েছে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পয়েন্ট অব ফায়ার যেটা দেখলাম মেইনলি কেবলের দিকে ফায়ারটা ছড়িয়েছে। যার জন্য উপরের কেবল গুলো পুরে গিয়েছে। যে এসিগুলো ছিল সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্যাবলের বক্সগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যালট ইউনিট, মনিটর, কন্ট্রোল ইউনিট যেভাবে আশঙ্কা করেছিলাম সে তুলনায় সেরকম কোনো ক্ষতিই হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ খুবই নগণ্য।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে নির্বাচন ভবন চত্ত্বরে আগুন লাগার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তবে এটা আমরা বলবো যে, এটা ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য এবং টিম ওয়ার্কের জন্য এতো বড় একটা ক্ষতির হাত থেকে আমরা বেঁচে গিয়েছি।
রংপুরে ইভিএম ব্যবহারে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের পর আমরা দেখব। এনআইডি উইংয়ের পক্ষ থেকে আমরা বলব সেখানে ইভিএম ব্যবহার করার চেষ্টা করবো। আমরা সেই ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। বাকিটা তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ করে কমিশনে উপস্থাপন করবো। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএম কোনোটা তিনদিন আগে এসেছে, এগুলো পর্যায়ক্রমে এসেছে। এখানে সাড়ে ৪হাজার সেটের মতো ইভিএম রেখেছি। সেগুলো বিভিন্ন রুমে রয়েছে। যেই রুমে আগুন লেগেছে সেই রুমে দুই মিটারের মধ্যে আমরা দেখলাম, কোনো কন্ট্রোল ইউনিট অথবা ব্যালট ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটুকু পানি দিয়ে নেভানোর কারণে , পানি যেহেতু স্প্রে করা হয়েছে, স্প্রে করার কারণে অতিরিক্ত পানিগুলো যাতে ব্যালট ইউনিটে ক্ষতিগ্রস্ত না করে সেই জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন বলে কোনো কিছু নাই। সবইতো আমাদের ইভিএম। যখন যেকোনো সেন্টারের জন্য, যে কোনো কেন্দ্রের জন্য, যেকোনো নির্বাচনে ব্যবহার করতে যাই। তখন আমরা প্রাথমিকভাবে বিএমপিএফে ডিমান্ড পাঠাই। সেই ডিমান্ড অনুসারে তারা আমাদেরকে সাপ্লাই করে। সাপ্লাই করার পর কোয়ালিটি চেকিং করি। চেকিং করে ফাইনালি আমাদের যে কারিগরি টিম রয়েছে তারা দেখে যে যেখানে নির্বাচন হবে সেই আসন এবং কেন্দ্র, সেই কেন্দ্রের সাথে বুথ আছে, তার সাথে এটা সামঞ্জস্য ঠিক আছে কি না। তারপর আমরা কোয়ালিটি চেকিং করি, তারপরে কাস্টমাইজড করে সেগুলো আমরা পাঠিয়ে দেই। এটা একটা স্টেপ বাই স্টেপ অ্যাকশন। সেই অ্যাকশনের অংশ হিসেবেই আমরা এখানে মেশিনগুলো যাস্ট জমা করেছি। কোনো কাস্টমাইজড বা কোয়ালিটি চেকিং শুরু করিনি। আগামীকাল থেকে শুরু করার কথা ছিল।
সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজপত্র ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে কোনো কাগজপত্র ছিল না। যেখানে আগুন লেগেছে এবং তার পাশে যে রেডিয়াসটা প্লাস ক্যাবল পুড়েছে এবং পাশে এসিগুলো যে পুড়েছে এর পার্শ¦বর্তী এলাকা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারতেন কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট পোড়ার তেমন কোনো কোয়েশ্চেন নাই। দুই মিটারের মধ্যে আমরা খুলে দেখেছি কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট পুড়ে নাই।
তবে আমরা আশঙ্কা করছি যে, পানির কারণে যাতে ব্যালটগুলো নষ্ট না হয়, এ জন্য আমরা কমিটি এখন সুপারিশগুলো কমিশনকে অবহিত করবো এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেবো। যাতে আমাদের জাতীয় সম্পদগুলো নষ্ট না হয়।
যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে এক হাজারের মতো ইভিএম ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতো হবে না। আমরা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেবো।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেন,আসন্ন রংপুর-৩ আসনের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিয়ে ভোট করতে সমস্যা হবে না। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ইভিএমের সংখ্যা এক হাজারের কম হবে ।
পাঠকের মন্তব্য: