দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার সুমন

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৪৬ পিএম
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ভান্ডারিয়া-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের শিল্পপতি এম এ খালেকের পাথরবাড়ির নামক স্থানে ঢাকাগামী 'ঈগল' পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেন্ট্রো-ব-১৫-১১-৭৪) চাকায় পিষ্ট হয়ে নূরুজ্জামান সুমন খান নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। প্রতিদিনের মতো তিনি প্রাতভ্রমণে বের হয়ে সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। জানা গেছে, নিহত সুমন খান নিরাপদ সড়কের দাবিতে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। সামাজিক সাইটে সব সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে নানা স্ট্যাটাস দিয়ে স্থানীয়ভাবে নিরাপদ সড়কের দাবিতে একাত্ম ছিলেন সুমন। আজ তাকেই প্রাণ হারাতে হল সরক দুর্ঘটনায়। নিহত সুমন উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের আব্দুল মালেক খান শাহজাহান এর বড় ছেলে এবং শহরের নাভিন টাওয়ারের 'সাধ' এন্টারপ্রাইজ নামে একটি গিফট সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি এক সন্তানের জনক। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। নিহত ব্যবসায়ী সুমন এর স্ত্রী সাবিহা বেগম জানান, প্রতিদিনের মতো আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে তার স্বামী প্রাতভ্রমণে বের হন। সকাল ৮টার দিকে সড়ক দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের বাস (ঢাকা মেন্ট্রো-ব-১৫-১১-৭৪) তাকে পেছন দিক থেকে চাপা দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক ওই বাসটি এক অদক্ষ হেলপার চালাচ্ছিলেন। তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, 'আমার স্বামী সব সময় নিরাপদ সড়কের জন্য দাবি তুলতেন। আজ সেই সড়কেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল তার।' ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল থেকে নিহত ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: