মৎস্য অভিযানে পুলিশ, নদীতে জেলেবেশে পাওয়া গেল উপজেলা চেয়ারম্যানকে

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০১:২৭ এএম
মৎস্য অবরোধকালীন সময় পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদীতে বৃহস্পতিবার রাতে মৎস্য অভিযানে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সামনে রাত ২টার দিকে সন্ধ্যা নদীতে জেলেবেশে আকস্মিকভাবে আবির্ভূত হলেন কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু মিয়া। মৎস্য অভিযানে নামা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের ইঞ্জিন ট্রলারটি উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারের কাছে ভিড়তেই কিংকর্তব্যবিমুর হয়ে যান তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান মনু মিয়া এ সময় তার সাঙ্গপাঙ্গকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা উপজেলা মৎস্য বিভাগের কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজে নিজেই এভাবেই নেমে পড়েন মৎস্য অভিযানে। সূত্র জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান মনুকে রাত ২টার দিকে এভাবে নদীতে দেখে বিস্মিত হয়েছেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন। মৎস্য কর্মকর্তা এ সময় চেয়ারম্যান মনুর কাছে জানতে চান, কেন তিনি মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে নদীতে নেমেছেন। এ সময় মনু মৎস্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি তিনি পরে সমাধান করবেন বলে জানান। কাউখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বিগত কয়েক দিন নদীতে অভিযান পরিচালনা করার পর আমি ক্ষাণিকটা তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ি, এ কারণে উপজেলা চেয়ারম্যানের ফোন ধরতে পারিনি। তবে তিনি এও বলেন, মৎস্য বিভাগ এবং প্রশাসন ছাড়া অবরোধ চলাকালীন সময়ে এভাবে কেউ নদীতে মৎস্য অভিযান পরিচালনা করতে পারেন না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: