জাবিতে ফের আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর একাংশ

প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৪ এএম
টানা ১ মাস পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সচল হওয়ার পর ফের আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর একাংশ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষার্থীর একাংশ। এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে "দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর" ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে বটতলা এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে গত ৫ নভেম্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়োল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, 'গত ৫ নভেম্বর উপাচার্যের মদতে ছাত্রলীগ আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে নির্মম হামলা চালিয়েছিল। এই উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে 'জিরো টলারেন্স' নীতি আমরা তা জাবির ক্ষেত্রেও দেখতে চাই। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করতে চাই।' জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুশফিক উস সালেহীন বলেন, 'বর্তমান প্রশাসন হল খুলে দিয়েছে যা, শিক্ষার্থীদের একটি বিজয়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে উপাচার্য আমাদের ওপর ঠিক একমাস আগে হামলা চালিয়েছিল। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে উস্কানি দিলে জাহাঙ্গীরনগর আবারো অস্থির হবে।' ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ জামান। সমাবেশ শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ করা হবে বলে ঘোষণা দেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সমন্বয়ক অধ্যাপক রাইহান রাইন। এদিকে গত বুধবার সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয় প্রশাসন। এরই মধ্যে হলে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার থেকে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: