ঢাকা দুই সিটি নির্বাচন: ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হতাশায় সব পক্ষ

প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৫:১৫ এএম
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে বিশিষ্ট জন এবং বিভিন্ন সংস্থা সব পক্ষ হাতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে ভোট ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সন্ত্রস্ট থাকলেও বিশিষ্ঠ জনরা বর্তমান ভোট সঙ্কিত। ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। একই সঙ্গে ভোট কম পড়া প্রসঙ্গে ইসিবলেছে, সরকারি দলের অনেকে ভোট দিতে কেন্দ্রে না যাওয়ার এটার একটা কারণ। এছাড়া ভোট উপলক্ষ্যে সাধারণ ছুটি থাকায় রাজধানীর অনেক নাগরিক ছুটির আমেজ উপভোগ করায় কেন্দ্রে যায়নি; এটাও ভোট কম পড়ার অন্যনত কারণ। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক ছিল। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যেভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে তাতে ভোটার উপস্থিতি আরো বেশি আশা করেছিলাম। আমরা ৫০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি আশা করেছিলাম। ভোট পড়ার হারে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না। এদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন মিলে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের অনুপস্থিতি বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের গণহতাশা ও গণঅনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচন মানুষকে ভোটের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার পরিবর্তন সম্ভব সে বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে তুলেছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। জনগণের ভোটকেন্দ্র বিমুখিনতার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোট ও নির্বাচন কমিশন। এরা নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে। অবিলম্বে অথর্ব নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছে বাম জোট। দুই সিটি ভোট নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারেনি এমন অভিযোগ রয়েছে। ঐ নির্বাচনে নিজের ভোট দিতে না পারায় এখন ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব এর পরের সব নির্বাচনে পড়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে যত যা-ই বলা হোক না কেন, নির্বাচনগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ধারাবাহিকভাবে কমছে। তিনি বলেন, যখন ভোটাররা দেখেন তাদের ভোট আগেই হয়ে যায়, তখন তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ আর পায় না। এটাই স্বাভাবিক। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)–এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনে ইভিএম ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের অবিশ্বাসের কারণে ভোটাররা ভোট দিতে যাননি। ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধংষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দুই সিটিতে ইসি যে ভোটার উপস্থিতির কথা বরছেন তা মাঠের ভোটার উপস্থিতির সঙ্গে মিল নেই ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: