বরগুনায় সকল বাজার দর স্বাভাবিক

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২০, ০৮:৪০ পিএম
র্তমানে বরগুনার মূল বাজারে সকল পণ্যের দাম-দর স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা বাজারের অস্থিশীলতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পর থেকেই বরগুনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে করোনা ভাইরাস উপলক্ষ্যে বাজার মনিটরিং সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা করে সকল খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে মূল্য তালিকা থেকেও কিছু কিছু পণ্য বেশি নয় বরং কম দামেও বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কাঁচা পণ্যের (পিয়াজ, রসুন, আলু, আদা) আরৎগুলোতে চার থেকে পাঁচ টাকা হেরফের থাকায় খুচরা ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। চালের বাজার প্রথম দিকে চড়া হলেও বর্তমানে প্রতি কেজি দাদা মিনিকেট- ৫২, মজুমদার গোল্ড মিনিকেট- ৫০, আটাশ- ৪৩, জিরাশাইল- ৪৫, পাইজাম স্বর্ণা- ৩৮, মোটা স্বর্ণা- ৩৭, গুটি স্বর্ণা- ৩৭, আতব- ৩২, চিনিগুড়া- ৭০ ও টেপু- ৩২ টাকা দরে চলছে। সরেজমিনে গিয়ে কথা বলে জানা গেছে- কাঁচা বাজারের সভাপতি খন্দকার আল- আমিন বলেন, কাঁচা পণ্য দ্রব্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। তবে হালখাতা বন্ধের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাছ বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় দুর থেকে জেলেরা তেমন কোন মাছ নিয়ে আসতে না পারায় গুটিকয়েক প্রকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে লোকজন কম থাকায় কম বিক্রি হচ্ছে মাছ। মাছের মধ্যে পোমা-১ শ' ৫০-২শ', রামসোস-৪শ'-৫শ', টাইগার চিংড়ি-১শ' ৫০, হরিনা, চামুয়া চিংড়ি- ৪শ'-৫শ', সাদা দগ্রি-২শ' ও ইলিশ মাছ-৭শ-৮শ' টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মাংস বাজারের মোঃ কামাল জানান- গরুর মাংস- সাড়ে পাঁচ শ', ছাগল বখরি প্রতি কেজি ৭শ' ও খাসি ৮শ' টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বরগুনা পোল্ট্রি শিল্প সমিতির সভাপতি মোঃ বেল্লাল হোসেন পনু বলেন, দেশি মুরগি- সারে চার শ' থেকে ৫শ' ব্রয়লার-৮০, লেয়ার-২শ', সোনালি২শ' টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি মুরগির ডিম- ৪০, ব্রয়লার ডিম-২৮, হাঁসের ডিম-৪০ টাকা। সকল পণ্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলেও কিছু কিছু কাঁচা পণ্যে লোকসান গুনছে ব্যবসায়ীরা । তবে সকল ওষুধের দাম স্বভাবিক থাকলেও অন টাইম মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোবস্, হ্যাক্সিসল এর দাম চড়া। বর্তমানে সঙ্কটাপন্নের মধ্যে হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যাক্সিসল, স্যাভলোন,ডেটল,স্যানিটাইজার, জিসল ও এন্টিসেপ্টিক। এ ব্যাপারে দোকানিরা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় কোম্পানীগুলো এসকল দ্রব্য সরবরাহ করতে পারছে না। করোনা প্রতিরোধে ব্যবহার্য দ্রব্যাদির সঙ্কটাপন্ন ও আমদানী অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন। কেননা শুধু মাস্ক পড়ে ও সাধারণ সাবান দিয়ে হাত ধুলে এ মহামারি করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। তবে সরকারের নিয়ম-নীতি মান্য করে চললেই এ থেকে স্বল্প পরিমানে হলেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: