করোনায় মানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল পঞ্চগড় জেলা পুলিশ

প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২০, ০৩:৩১ এএম
মানুষ ঘরে থাকলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন হবে না। তাই মানুষকে ঘরে রাখতে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে অসহায় মানুষের সহায় হচ্ছেন পঞ্চগড় জেলা পুলিশ এর সদস্যরা। করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা চিকিৎসা শেষে বাসায় পৌছে দেওয়া, কখনও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে তদারকি করা। ঐ ব্যক্তিদের নজরদারি করা এমনকি অভাবি অসহায় মানুষের হাতে ত্রাণ পৌছানে এবং মানুষের জন্য ত্রাণ যাতে চুরি না হয় সেজন্যও কাজ করছে পুলিশ। আচরণে, দায়িত্ব পালনে, পঞ্চগড় জেলা পুলিশ যেন আজ পিতার ভূমিকায়। পঞ্চগড় পুলিশের এমন অনন্য ভূমিকা পঞ্চগড়বাসী আগে কখনও দেখেছে কি না সন্দেহ আছে? পঞ্চগড় জেলা পুলিশের  করোনা মোকাবেলায় তাদের কিছু কৃতকর্ম: করোনা ভাইরাস এর প্রাদূর্ভাব ঠেকাতে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ। গত ১ মার্চ হতে ২৭মে পর্যন্ত ১ হাজার ৫০ জন ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পঞ্চগড় জেলায় ফিরেছেন। বাড়ি বাড়ি তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ এছাড়াও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তদারকি করে তাদের বাড়িতে ষ্টিকার লাগিয়ে দেয়। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্তের পর পঞ্চগড় পুলিশ সুপার ইউসুফ আলীর উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে পুরো পঞ্চগড় জেলায় সচেতনতামূলক মাইকিং ও প্রচারণা শুরু করে জেলা পুলিশ পঞ্চগড়। প্রচারণার বিষয় ছিল- করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়, সংক্রমণের লক্ষণ, আক্রান্ত হলে কি করতে হবে, সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে করণীয় বর্জনীয় সম্পর্কে। পরবর্তীতে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়া, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়া, বাজার চায়ের দোকানে আড্ডা না দেওয়া, খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম না বাড়ানো, নির্দিষ্ট সময়ের পর দোকান পাঠ খোলা না রাখা এবং আইন অমান্য করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে করোনাকালে প্রচারণা অব্যাহত রাখে পুলিশ। এছাড়াও জেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সর্ম্পকে জনগণকে সচেতন করার লক্ষে ঘুরে ঘুরে গ্রামসহ শহর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও যে কোন প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন করে অথবা জেলার পাঁচটি থানার সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে জনগণকে সচেতন করেছে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পঞ্চগড়ের শ্রমজীবী মানুষেরা নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করলে তাদেরও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে পুলিশ। এ সময় বিশেষ করে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ হতে প্রায় ১হাজার ৩শত ৩১ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত এর জন্য থানা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মনিটরিং করা হয়। একই সাথে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মনোবল ঠিক রাখার জন্য তাদেরকে উপহার সামগ্রী গত ২৫ মার্চ হতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রদান করে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে জেলায় লকডাউন ঘোষণার পর জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল টমেটো নিয়ে বিপাকে পড়ে জেলার টমেটো চাষী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। হুমকির মুখে পরে টমেটোর বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া। সেই সময় শাসক না হয়ে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জেলার কৃষি বিভাগের সাথে পরামার্শ করে গত ২২ এপ্রিল শরিয়তপুর ও মাদারিপুর থেকে ৩৮ জন টমেটো ব্যাপারীকে মাইক্রোবাসযোগে তাদের পঞ্চগড়ে আনার ব্যবস্থা করে এবং তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে ১৪ দিন পর ঐ ব্যাপরিরা পঞ্চগড় হতে টমেটোচাষীদের কাছ থেকে টমেটো ক্রয় করে এলাকার টমেটোর বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার। শুধু টমেটো চাষী নয় লকডাউনে জেলার অন্যান্য সবজি বেগুন, শসা, লাউ মিস্টি কুমড়া ও মরিছ চাষীরাও সংকটে পড়ে তাদের কথা ভেবে পুলিশ সুপার সরাসরি সবজি চাষীদের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করে পুলিশ সদস্যদের পরিবারের চাহিদা মিটায়। সবজিগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এতে সবজি চাষীদের সংকট থেকে উত্তোরণ হয়েছে। এদিকে করোনাকালে জেলায় কর্মহীন হয়েছিল কয়েক হাজার ধান কাটা শ্রমীক। পুলিশ সুপার এই কর্মহীন ধান কাটা শ্রমিকদের কথা ভেবে দেশের যে জেলাগুলোতে ধান কাটা শ্রমিক প্রয়োজন সেই জেলাগুলোর প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে পঞ্চগড় জেলার সহস্রাধিক ধান কাটা শ্রমিকদের নওগাঁসহ কয়েকটি জেলায় পাঠায় একই সাথে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার। জেলায় অন্য জেলা থেকে পঞ্চগড়ে কেউ অবাধে প্রবেশ না করে সেজন্য পঞ্চগড় জেলার প্রবেশপথে চেকপোষ্ট স্থাপন করে ২৪ ঘন্টা পুলিশ সদস্যদের মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। একই সাথে চেকপোষ্টগুলোতে রাষ্ট্রের জরুরী পণ্য পরিবহন গুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে প্রদান করেছে। লকডাউনের মধ্যে জেলার প্রধান কাচাবাজারে যখন জনগণ গাঁ ঘেষে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছিল, তখন পুলিশ সুপার এর বিশেষ উদ্যোগে গত ১৪ এপ্রিল বাজারে প্রবেশ ও বাহির পথের জন্য একমূখী চলাচল ব্যবস্থা চালু করে। পাশাপাশি বাজারে প্রবেশ এর কয়েকটি পথে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। এদিকে ১৭ এপ্রিল পঞ্চগড়ে প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের পর করোনা রোগীদের রোগ প্রতিরোধযুক্ত খাবার ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ও ফলমুল প্রদান করে পুলিশ সুপার। গত ২২ এপ্রিল হাসপাতালের এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা: মনসুর আলমের বাসার কাজের মেয়ে মালেকা বেগম এর করোনা হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা এবং মালেকা বেগমকে তার নিজ বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেয় পড়ে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার তাকে তার বাড়িতে কোন বাধা ছাড়াই প্রবেশ করার ব্যবস্থা করে। রমজানে পঞ্চগড় জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষদের ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। গত ২৩ মে জেলার ৬ শত অসহায় ভ্যান, রিক্সা, ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে চাল ডাল তেল সেমাই চিনি সাবান বিতরণ করেছে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরে জেলায় রাতের অন্ধকারে অসহায় ও কর্মহীনদের খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেয় পুলিশ। করোনা পরিস্থিতিতে গত ৩০ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনের প্লাটফর্মে অসুস্থ্য অবস্থায় মনোয়ারা বেগম (৪২) পড়ে ছিল। করোনার কারনে কেউ ছয়দিন ঐ নারীর সংস্পর্শে আসেনি খোঁজও নেয়নি। স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জানতে পেরে ঐ নারীকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে তার পরিবারের কাছে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। এদিকে ২৪ এপ্রিল জেলার আটোয়ারী উপজেলা থেকে মনসুর আলী (৪৫) দাঁত ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিতে এসে পঞ্চগড়ের মিঠাপুকুর এলাকায় হাইওয়েতে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। স্থানীয়রা করোনা রোগী ভেবে তাকে মারধর করে, পুলিশ সুপার খবর পেয়ে মনসুর আলীকে উদ্ধার করে তার সেবা শশ্রুষা করে তার জ্ঞান ফিরে স্বাভাবিক হলে পুলিশ সুপার তার স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। ঢাকা ফেরত পঞ্চগড় পৌরসভার কামাতাপাড়া এলাকায় গত ৫ এপ্রিল মুক্তি(২৫) নামে এক যুবতি নারী জ্বর শ্বাসকস্টে ভুগতেছিলেন কিন্তু করোনার ভয়ে চিকিৎসা নিতে লোকলজ্জায় বাড়িতেই অসুস্থ্য অবস্থায় পড়েছিল। পুলিশ জানতে পেরে ঐ নারীকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে নমুনা সংগ্রহের পর ঐ নারীর শরীরে করোনা নেগেটিভ ফলাফল আসে। করোনাকালেও জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে ৯২ বছর বয়সী ইশারন নেছা বৃদ্ধাকে স্বজনরা বাড়ি থেকে বের করে দেয় ঝড় বৃষ্টির রাতে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছেও আশ্রয় না পেয়ে উত্তরা বাজারের একটি দোকানের সামনে বসে কাঁদছিল । তখন পুলিশ খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ইশারন নেছাকে তার স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয় আটোয়ারী থানা পুলিশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলার বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার দাফন ও জানাযা নামাজে সহযোগীতা করে বোদা থানা পুলিশ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সব সময় করোনার নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতিকুলতার মাঝে চ্যালেঞ্জে এর সম্মূখীন হয়, এজন্য করোনা সংক্রান্ত যে কোন কাজে স্বাস্থ্য বিভাগককে সহযোগীতা করে আসছে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ। পঞ্চগড়ে ভাইরাস আতঙ্ক অনেকের মধ্যে জাগিয়েছে মৃত্যুভয়। জেলায় মানুষের মধ্যে অস্থিরতা আছে। তবে এই অবস্থায় জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতারাও বলছেন পঞ্চগড় জেলা পুলিশ এখন আস্থা ও ভরসার প্রতীকে পরিনত হচ্ছে। পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট এর কাছে পুলিশের ভুমিকা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন হাসপাতালের অন্দরে লড়ে যাচ্ছেন করোনা যোদ্ধা হিসেবে, তখন জেলায় বাইরেরটা সামলাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ মানেই ইউনিফরম, হাতে লাঠি, কাঁধে বন্দুক কোমরে পিস্তল এমন ভাবনা বদলে যাচ্ছে এখন লাঠির বদলে তাদের মাইক্রোফোনে শোনা যাচ্ছে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান। তাদের কর্মে জেলার জনগনকে মাস্ক পড়ার জন্য ঘন্টায় ঘন্টায় করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সচেতনতার বানী। জীবানু নাশক স্প্রে করার জন্যও করোনা মোকাবেলায় কাজ করছে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ। জেলায় পুলিশের ভুমিকা এতটাই দৃশ্যমান যে আমি দেখেছি করোনাকালে জনগনের কোন সমস্যায় মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে পৌছে গেছে পুলিশ । মানুষ যখন করোনার ছোবল থেকে বাঁচতে আটকা পড়েছে ঘরে, তখন পুলিশের পদচারনা গ্রাম, শহড়, রাজপথ এবং অলিগলিতে। পঞ্চগড় পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবীর উজ্জল বলেন ছোটবেলায় শুনেছি বিপদে পড়লে বন্ধু চেনা যায়। উৎসবে, বিপদে, দূর্ভিক্ষে, শশ্মানে যে পাশে থাকে সেই প্রকৃত বন্ধ, আর পঞ্চগড়ে সেই বন্ধুরমত কর্তব্য পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছে পঞ্চগড় জেলা পুলিশের সদস্যরা। তবুও তারা দায়িত্ব পালনে অবিচল। পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জানায়, জাতীর পিতার জন্মশতবর্ষে পুলিশের শ্লোগান ছিল ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার পুলিশ হবে জনতার’ সত্যিই এই স্লোগানটি বাস্তবে পরিনত করছে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ এর সদস্যরা। আমি মনে করি করোনা হয়তো একদিন থেমে যাবে কিন্তু করোনা কালে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে করোনাকালে পুলিশের দায়িত্বশীল ভুমিকার কথা চিরকাল মনে রাখবে পঞ্চগড়বাসী। করোনা থেমে গেলে আমরা পঞ্চগড়বাসী বলতে পারবো করোনা বিরোধী লড়াইয়ে পঞ্চগড়ের পুলিশ জীবনবাজি রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি পুলিশ সুপার ইউসুফ আলীকে অভিনন্দন জানাই তার এই মানবতাবাদী ভুমিকার জন্য। পুলিশ কাজ করছে মানবতার হাত ধরে। স্যালুট পঞ্চগড় জেলা পুলিশ পঞ্চগড়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: