রিজেন্ট কেলেঙ্কারি: স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০, ০৮:৪৪ পিএম
রিজেন্ট ও জেকেজিকে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে আবারও চিঠি দেয়া হবে। গত রবিবার (১২ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও আক্রান্তদের চিকিৎসা করাতে কেন অনুমতি দেয়া হয়েছিলো এবং এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের দেয়া বক্তব্য 'মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ'র নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে', এখানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে কি বুঝিয়েছেন তিনি তা-ও জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কি কি বিষয়ে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয় নোটিশে। এর তিনদিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়। এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ নিজ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিন তিনি। লিখিত ব্যাখ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, 'রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল সাবেক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশে। তবে সাবেক সচিব বুধবার গণমাধ্যমে এ বিষয়টি অস্বীকার করেন। স্বাস্থ্য সচিব বলেন, মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির লিখিত আদেশ এ ব্যাখ্যার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে কিনা। তিনি জানান, সেই চুক্তি করা হয়েছিল সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশে। যিনি বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আবদুল মান্নান আরও উল্লেখ করেন, সব বিস্তারিত জানার জন্যই আমরা তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম।' এর আগে, রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার বিভন্ন বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে নির্দেশেই অধিদফতর রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি করে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যেই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিম এবং জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান সাবরীনা চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। এমনকি রিমান্ডে তারা জালিয়াতির কথা স্বীকারও করেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: