‘বাংলাদেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না...’ সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, কিসের আতঙ্কে কি কারণে এরকম ভয়ঙ্কর কথা বললেন? কারা ষড়যন্ত্রকারী, কারা যেকোন মুহূর্তে যেকোন ঘটনা ঘটাতে পারে? তাদের মুখোশ উন্মোচন করেন, জাতি জানতে চায়। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এর উদ্যোগে জিসাসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল হাশেম রানার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন,‘আপনারা দেখেছেন নির্বাচন কমিশন তার যে কার্যক্ষমতা সেই ক্ষমতাটা দিয়ে দিচ্ছে সরকারের হাতে। অর্থাৎকিছু মানুষ আছে দায়িত্বপালন করাকে জীবনে সার্থকতা মনে করে, আর কিছু মানুষ আছে শুধু ভোগ করবে দায়িত্বপালন করবে না। অথর্ব্য যাদেরকে বলে, এটা হচ্ছে অথর্ব্য নির্বাচন কমিশন।
জিসাসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল হাশেম রানা সম্পর্কে যুবদলের এই সাবেক সভাপতি বলেন, আবুল হাশেম রানা দীর্ঘ ২৮ বছর অর্থাৎ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে একটি সংগঠনকে ধরে রেখেছিলেন। যেরকম নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন, সবচেয়ে বড় কথা রানা বিনয়ী ছিলেন, ভদ্র ছিলেন, হাসিমুখে থাকতেন, বেগম জিয়া ভিড়ের মধ্যেও তাকে দেখলে এই রানা বলে ডাক দিতেন। এই যে একটা জিনিস এটা তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে অর্জন করে নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয়তাবাদীর শক্তির একজন সৈনিক চূড়ান্ত জায়গায় চলে গেছেন। আমাদের সবাইকে সেখানে যেতে হবে। সুতরাং আমরা যাকে ভাল জানি, যে মানুষের জন্য কাজ করেছে, সমাজের জন্য কাজ করছে, সংস্কৃতির জন্য কাজ করেছে, সেই কাজগুলো আমরা যদি একটি-দুটি বা পাঁচটা করে সফল করতে পারি তাহলে আজকের এই স্মরণসভা সফল হবে। তাহলে তাকে সম্মান জানানো হবে। তাহলেই কেবলমাত্র রানাকে ভালোবাসা হবে। মৌখিক কোনো স্বীকৃতি দিয়ে নয়। তার চরিত্রের ভালো গুণগুলো একটি একটি করে আমরা ধারণ করার চেষ্টা করি।সূত্র: নয়া দিগন্ত
পাঠকের মন্তব্য: