‘আমি ম্যাজিস্ট্রেট বলছি, অভিযানে আসছি, বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দিন’

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:৫৯ এএম
‘আমি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলছি, আপনারদের বাজারে অভিযানে আসছি। আপনি বিকাশে আমাকে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিন। অন্যতায় আপনার দোকান এবং ফ্যাক্টরি সিলগালা করে দেওয়া হবে।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর বাজারের এক ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে এসব বলা বলেন এক ব্যক্তি। একইভাবে বাজারের আরো কয়েকজনকে ফোন করে টাকা দাবি করেন ওই ব্যক্তি। ব্যবসায়ীরা জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিয়ার রহমান পরিচয় দিয়ে মোবাইলে ফোনে (ফোন নম্বর ০১৯১৫৬৬৬৪৯৯) পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে জানান, জগন্নাথপুর বাজারে ভোক্তা আইনে তারা অভিযানে আসছেন। তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য। পরে পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক বিপলু রঞ্জন সরকারের নিকট থেকে বাজারের কয়েকজন মিষ্টি দোকানের মালিকদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন। এদিকে অভিযানের খবর বিপলু রঞ্জন সরকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জানান। জগন্নাথপুর বাজারের রিচমুন কনফেকশনারির মালিক মিন্টু রঞ্জন ধর বলেন, দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে ০১৯১৫৬৬৬৪৯৯ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে সুনামগঞ্জের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিয়ার রহমান পরিচয় দিয়ে আমাকে কল করে বলেন, আমরা অভিযান আসছি। ভেজাল পণ্য রাখার অভিযোগে ৬ মাস আপনার ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এ জন্যে বলছি, আমাকে ৫০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিলে আমি আপনার এখানে আসব না। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে সরাসরি উৎকোচ চাওয়ায় আমার সন্দেহ হয়। পরে আমি ঢাকা, সিলেট ও সুনামগঞ্জের ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানতে পারি এই নামে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট নেই তাদের। সে প্রতারক হবে। এরপর থেকে ওই প্রতারকের মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। জগন্নাথপুর পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক বিপলু রঞ্জন সরকার বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়ায় প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে জানতে পারলাম সে একজন প্রতারক।’ জগন্নাথপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র শফিকুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমি জগন্নাথপুরের ইউএনওকে অবহিত করেছি।’ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান জানান, এ বিষয়ে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে বলেছি। সুনামগঞ্জের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আতিয়ার রহমান নামে কোনো লোক নেই আমাদের। লোকটি প্রতারক।’ সূত্র: কালের কন্ঠ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: