বিডি২৪লাইভে সংবাদ প্রকাশ, সুস্থ হয়ে ঘর পাচ্ছে সালমান

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৩৫ পিএম
সারাদেশে মফস্বলে কর্মরত সাংবাদিকদের আপদে বিপদে কাছে থেকে তাদের হৃদয় জুড়ে স্থান করে নিয়েছেন, বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক) সভাপতি ও দৈনিক আমাদের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি খায়রুল আলম রফিক। কেবল সাংবাদিকরাই নন, সকল শ্রেণি পেশার অবহেলিত মানুষরাও পেয়েছেন সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের মানবসেবার ছোঁয়া। রফিকের স্পর্শ মানুষের বোধ জাগরণেই তার আত্মবলিদান! সম্প্রতি ময়মনসিংহের ত্রিশালের বাসিন্দা ৬ বছর বয়সী শিশু সালমান আক্রান্ত হয় বিরল রোগে। বিরল রোগাক্রান্ত শিশুটির শরীরের দুর্গন্ধে কাছে আসছিলনা কেউ। শিশুটির পিতা স্থানীয়ভাবে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এরপর ঢাকায় চিকিৎসার্থে ঘুরতে ঘুরতে যথাযথ চিকিৎসা করাতে না পেয়ে ব্যর্থ হয়েও এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এরই মাঝে বিষয়টি নজড়ে আসে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের। সাংবাদিক রফিক শিশুটির করুণ অবস্থা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিডি২৪লাইভে সংবাদ প্রকাশ করেন। লাইভে সকলের কাছে সহযোগীতা কামণা করেন সাংবাদিক। ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের তদারকিতে সাংবাদিক রফিক শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে রাজধানী ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সস্টিটিউটে ভর্তি করেন। সেখানে দীর্ঘ ২ মাস চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুচিকিৎসা এবং দুটি অপারেশনের পর শিশু সালমান আজ সুস্থ। এখন সে হাটাচলা, দোঁড়া দোঁড়ি , খেলাধুলা অর্থাৎ স্বাভাবিক কার্যাদি করতে সক্ষম। ইতিমধ্যে শিশুটির চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। সাংবাদিক রফিক এ বিষয়টি নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রে তুলে ধরেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিশুটি আজ পেতে যাচ্ছে আবাসস্থল অর্থাৎ থাকার ঘর। এই ঘর তৈরিতে এবং চিকিৎসার্থে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন মুক্তহস্তে। যারা আজ সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রশংসিত হচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক মফস্বলেল সাংবাদিক সমাজ ছাড়াও সাধারণ মানুষের অন্তর্নিহিত এক শক্তি। যে শক্তির জাগরণে উত্তরণ হয়েছে পূর্ণত্বের দিকে। প্রকাশ ও বিকাশ হয়েছে আত্মশক্তির। এই শক্তি উন্মোচনের দিশারি হয়ে তার আহ্বান, আমার মত আপনারাও জেগে উঠেন, সাহসী হোন, ত্যাগী হোন । আপনি যে শক্তি বা সাহায্য চাচ্ছেন তা আপনার ভিতরেই আছে । খায়রুল আলম রফিক দুর্বলতাহীন, কাপুরুষতাহীন, আশিষ্ট, দ্রঢ়িষ্ট, বলিষ্ঠ ও খুবই মেধাবী সাংবাদিক। নিষ্ঠা, সততা আর আত্মনির্ভরতায় মানুরের মাঝে উৎসর্গীকৃত জীবন। তার জীবনে সব থেকে বড় অলঙ্কার আত্মবিশ্বাস। দুর্বল সাংবাদিকদের প্রেরণাউজ্জীবনের স্বপ্ন দেখান তিনি। দেশের কোথায় কোন সাংবাদিক অবহেলা, লাঞ্ছনা, ব নার শিকার, মিথ্যা মামলার হয়রানি শিকার, বিচারপ্রার্থী, বিনাবিচাওে কারাবন্দি সাংবাদিকদের খোঁজ খবর রাখেন এবং পাশে দাঁড়ান তিনি। তাদের সুখে দুখে এমনকি পরিবারের পাশেও দাঁড়ান। রংপুরের সাংবাদিক বাবু এবং ফেনীর সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক আমাদের নির্ভয় হতে প্রেরণা দেন। অভয় দেন, সাহস জোগান প্রাণে। উৎসাহ দেন মনে। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে আসে অনুপ্রেরণা। অস্থির এই বর্তমান সময়েও খায়রুল আলম রফিক আমাদের পাশে আছেন। রফিকও বলেন, যতদিন বেঁচে আছি মফস্বলের সাংবাদিকদের আমি অনুপ্রেরণা দিয়ে যাব। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সূত্র জানায়, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের ডাকে সাড়া দিয়ে বিরল রোগে আক্রান্ত ত্রিশালের শিশু সালমানের চিকিৎসা ও ঘর নির্মাণ কাজে অনেকই সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছেন। তন্মধ্যে চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগীতা করেছেন, সংসদ সদস্য হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী, ত্রিশালের মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ, ঢাকার ব্যবসায়ী ত্রিশালের সন্তান শাহ আহসান হাবিব বাবু, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার, ত্রিশালের আ.লীগ নেতা ইকবাল হোসেন, যুবলীগ সভাপতি জুয়েল সরকার, অস্ট্রিয়া প্রবাসী রানা বখতিয়ার, ডাক্তার এমএ আজিজ, স্থানীয়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পুত্র যুবদল সভাপতি জুয়েল ও ইদ্রিস খানসহ নেতৃবৃন্দ। আর্থিক সহযোগীতাকারীগণ সালমানের পরিবারের বিকাশ একাউন্টে টাকা প্রদানের মাধ্যমে এই সহযোগীতা করেন। সালমান সুস্থ হলে তার জন্য একটি ঘর করার পরিকল্পনা গ্রহন করেন, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক। সেলক্ষে ঘর নির্মাণের সকল কাজের তদারকি করতে তিনি একটি কমিটি করেন, নবী নেওয়াজ সরকারকে আহবায়ক এবং সাংবাদিক কামাল হোসেনকে সদস্য সচিব করেন। ঘর নির্মাণ কাজে আর্থিক ও নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়ান অনেকেই। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আহমার উজ্জামান পিপিএম- সেবা । তার পক্ষ থেকে ত্রিশালের ওসি মাহমুদুল ইসলাম পিপিএম ঘর নির্মাণের সকল ইট প্রদান করেন। নবী নেওয়াজ সরকার ও ইকবাল হোসেন সিমেন্ট প্রদান করেন। বালি দেন সেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক ইব্রাহিম খলিল নয়ন।নিজের বেতনের টাকায় রড কিনে দেন জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির শাহ কামাল আকন্দ। দৈনিক আামাদের কন্ঠ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক নিয়াজী সেলিম আহমেদের পক্ষ থেকে প্রদান করবেন পানির সুবিধার্থে টিউবওয়েল। সূত্র জানায়, সালমানের জন্য নির্মিত ঘরটি নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে । নির্মাণ শেষে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে । উদ্বোধন করবেন, জেলা পুলিশ সুপার, ইউএনও ত্রিশালসহ উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সমাজের গুণীজন। উপরোক্তরা জানান, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক সত্যিকারের অনুকরনীয়, অনুসরনীয়, মহানুভব, চরিত্রবান, হৃদয়বান মানুষ। আজকের দিনে এমন মানুষেরই বড় অভাব। অসাধারণ মানুষটিকে আমরা দেখছি। তার খুঁজে পাই উত্থিত মানবপ্রেম। আর্ত-অবহেলিত অসহায়-অজ্ঞ মানুষের দুঃখমোচন করাই তার লক্ষ্য। দীন-দরিদ্র নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষকে তিনি আহ্বান জানান নিজস্ব স্বকীয় সম্বোধনে। পাশপাশি মফস্বলের সাংবাদিকদের সেবায় ও মর্যাদাদানে নিজেকে নিয়োজিত রাখাই তার ব্রত। অবহেলিত মানুষের প্রতি এই নিষ্কাম প্রেম দেখে বিদগ্ধজনেরা তাকে বলেন মানবতাবাদী। মানুষই সেখানে সেবার শীর্ষে বিরাজিত। মানবসেবাই তার কাছে মানবিকতা। সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের মত মানুষ সমাজের প্রতিটি অঙ্গে যদি প্রতিষ্ঠিত হত, তা হলে সমাজ আরও পরিশুদ্ধ হত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: