দুটি পা ও একটি হাত নেই, তারপরও শত বাধা পেরিয়ে স্বাবলম্বী শাহিদা (ভিডিও)

প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৫১ পিএম
৬ ছেলে মেয়েদের মধ্যে শুধুমাত্র শাহিদাই ছিল প্রতিবদ্ধি। অথচ এই শাহিদাই সকলকে ছাপিয়ে গেছে। যশোরের এমএম কলেজ থেকে মাষ্টার্স শেষ করেছে শাহিদা। তার এই সাফল্যের পিছনে অবদান রয়েছে তার পিতা-মাতা এবং ভাইবোনদের। শাহিদা খাতুনের দুটি পা ও একটি হাত নেই। সচল একটি মাত্র হাত। সেই হাতের আঙুল সচল তিনটি। ছোট বেলা যখন স্কুলে ভর্তি হয়েছে তথন ক্লাসের স্যারেরা ভয় পেয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে সে কিভাবে ক্লাস করবে। শোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মুদি দোকানি মো. রফিউদ্দিনের ছয় সন্তানের মধ্যে ৪র্থ শাহিদা। ১৯৯১ সালে শাহিদার জন্ম হলে গোটা পরিবারে যেন আঁধার নেমে আসে। কারণ মেয়েটির একটি হাত ও দুটি পা নেই। সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে অশ্রম্নসিক্ত হয়ে পড়েন শাহিদার মা জোহরা বেগম। ৬ বললেন, 'পাড়া-প্রতিবেশীরা বলত, পাপ করেছি, তারই ফল পেয়েছি। ঘিন্নায় মানুষ কথা বলত না।' শাহিদাকে বলতা, 'তুই কি করতি হইছিস্‌? তোরে দিয়ে তো কিছ্‌ছু হবে না। আমাগের হলি তো মাইরে ফেলতাম!' এই ছিল শাহিদার শৈশব! কখনো মা-বাবা, কখনো ভাইবোনের কোলে চড়ে স্কুলে যাতায়াত শুরু হয় শাহিদার। রোদ, বৃষ্টি, ঝড় কোনো কিছুই তাকে স্কুল থেকে দূরে রাখতে পারেনি। পড়াশোনার প্রতি আন্তরিক ও অদম্য আগ্রহের কারণে শিক্ষকরাও পরে তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠেন। এভাবেই সেন্টলুইস হাইস্কুল থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি ও ২০০৯ এ শিমুলিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। শাহিদা জানান, এরপর বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের শহিদ মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি হন। প্রতিদিন একশ টাকায় একটি ভ্যান ভাড়া করে দেন বাবা। সেই ভ্যানে কলেজে যাতায়াত করে বিএ পাস করেন। এরপর যশোর এমএম কলেজ থেকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করেন। শাহিদার স্বপ্ন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একজন প্রতিবন্ধীর কষ্ট ও সংগ্রামের গল্প তাঁকে শোনাবেন।' ভিডিও সৌজন্যে: চ্যানেল২৪

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: