পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ড্রেজিং প্রকল্প, বদলে যাবে চিত্র

প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:১৩ পিএম
পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাড়ে ১০মিটার ড্রাফট বিশিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। বছরে ২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা বন্দরের নিজস্ব জেটিতে স্থানান্তর এবং ৩ হাজার টিইইউ’স এর (বিশ ফুট দৈর্ঘের) কন্টেইনারবাহি জাহাজ ও ৪০ হাজার টনের পণ্যবাহি বাল্ক কার্গো ক্যারিয়ার জাহাজ সরাসরি বন্দরে আগমন করতে সক্ষম হবে। এতে বদলে যাবে চিত্র। আর বিনিয়োগকারিরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপনে আগ্রহি হবেন বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের মূল ও রক্ষনাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প সংক্রান্ত বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনাও করা হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। রাবনাবাদ চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ৭৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ১০০-১২৫ মিটার। গত ১৪ জানুয়ারি পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে বুধবার পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪০৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়নাধীন ‘রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেল) জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেল) জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪০৮ কোট ৮৭ লাখ টাকা। এ কাজটি করবে বেলজিয়ামের জেনডিলুন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দরের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের আগস্টে এর অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। গতকাল (২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পায়রা বন্দরে ১০০টি জাহাজ এসেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: