প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: এসপি

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৫১ পিএম
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেছেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে, কলেজ কমিটি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই হয়তো এই ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে। নৈশপ্রহরীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে আসামিরা আড্ডার ছলে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। রাত পৌনে একটার দিকে তারা হাতুড়ি দিয়ে ভাস্কর্যে তিনটি আঘাত করে চলে যায়। এসপি বলেন, এ ঘটনার পর জেলার সব ভাস্কর্যস্থলে সিসি ক্যামেরা বসানো ছাড়াও নিরাপত্তা প্রহরী নিযুক্ত করা হয়েছে। কয়া ইউনিয়নের কয়া মহাবিদ্যালয়ে ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় জড়িত যুবলীগ নেতাসহ স্থানীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আনিছুর রহমান, সবুজ হোসেন ও হৃদয় আহম্মেদ। আনিছুর রহমান কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে কুমারখালীর বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ভাস্কর্য ভাঙার অপকর্মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনার সঙ্গে মোট চারজন জড়িত রয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন। অপরজনের নাম বাচ্চু। সে এখনও পলাতক রয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে একটার দিকে কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্যে ভাংচুর করা হয়। কলেজের রাত্রীকালীন পাহারাদার খলিল মিয়া বলেন, ওই সময় তিনি দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজনকে চলে যেতে দেখেন। ঘটনার পর গেল রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: