হোটেলে নববধূর লাশ, পলাতক পুলিশ সদস্য

প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ০২:১৩ এএম
বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় কুমিল্লার মেহনাজ জেরিন নিপার। এর ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হলো নিপাকে। গত ৩ জানুয়ারি গ্রামের বাড়ি থেকে স্বামী রুবেলের সঙ্গে ঢাকায় আসেন নিপা। চাকরির কারণে স্বামী রুবেল থাকেন মেসে। তাই স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি আবাসিক হোটেলে। এই হোটেল থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় মেহনাজ জেরিন নিপার (২৪) লাশ। নিপার স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী রুবেলই তাকে হত্যা করেছেন। এ অভিযোগের বিষয়ে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জামিল হাসান ও মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত খান কথা বলতে রাজি হননি। মতিঝিল থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভিতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় নিপার ভাই আহসানুল কবির আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনালের কর্মচারীরা জানান, গত ৩ জানুয়ারি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুজন হোটেলের একটি রুম ভাড়া নেন। এরপর ওই নারীর স্বামী অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে চলে যান। এ সময় ওই নারী হোটেলে একাই ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। নিপার বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার দাশিয়ায়। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। মর্গ সূত্র জানায়, নিপার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিপার ভাই আহসানুল কবির বলেন, ‘আমার বোনের মৃত্যুর জন্য জাহিদুলই দায়ী। না হলে বিয়ের পাঁচ দিন পার না হতেই কেন সে আত্মহত্যা করল?’ সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: