শেষ মুহূর্তে পাঁচ জনের প্রাণ বাঁচিয়ে গেল মাত্র ২০ মাসের শিশু

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:০৫ পিএম
দুই বছর হতে এখনও প্রায় ৪ মাস বাকি। দু’বছরও পূর্ণ হয়নি। মাত্রই ২০ মাস। সেই একরত্তি শিশুই প্রাণ বাঁচাল ৫ জনের। না, কোনও রূপকথা নয়। দিল্লির ২০ মাসের এক খুদে কন্যা নিজের মৃত্যুর পরে তার অঙ্গদান করে সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গদাতা হিসেবে প্রাণ বাঁচিয়ে গেল অন্তত পাঁচ জনের। ঘটনা ভারতের দিল্লির রোহিনী অঞ্চলের। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা যায়, দিল্লির রোহিনীর বাসিন্দা আশিস কুমার ও তাঁর স্ত্রী ববিতার সন্তান ধনিষ্ঠার দু’টি চোখের কর্নিয়া ছাড়া়ও লিভার, কিডনি, হার্ট আজ প্রতিস্থাপিত হয়েছে পাঁচ জনের শরীরে। গত ৮ জানুয়ারি খেলতে খেলতে বাড়ির ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে চেতনা হারায় ধনিষ্ঠা। দিল্লির শ্রীগঙ্গারাম হাসপাতালে ১১ জানুয়ারি তার মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়। কিন্তু দেহের অন্য সব প্রত্যঙ্গই কাজ করছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মেয়ে হারানোর শোক সামলে তাকে অনেকের মধ্যে ‘বাঁচিয়ে’ রাখতেই তার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন আশিস ও ববিতা। তার পরেই শুরু হয় এক অভূতপূর্ব উদ্যোগ। দেশের কনিষ্ঠতম অঙ্গদাতার দেহ থেকে অতি যত্নে তুলে আনা হয় প্রত্যঙ্গগুলি। মা-বাবার এমন মনের জোরকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ওঁরা যে ভাবে অন্যদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সন্তানের অঙ্গদান করেছেন, তা নজির হয়ে রইল। ডঃ ডি. এস রাণা জানান, ‘ধনিষ্ঠার পরিবারের এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়। আর ওনাদের এই কাজ অনেককে অনুপ্রেরণা দেবে। ০.২৬ প্রতি মিলিয়ন হিসেবে ভারতে অঙ্গ দানের হার খুবই কম। অঙ্গের কারণে প্রতি বছর ৫ লক্ষ ভারতীয় প্রাণ হারান।”

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: