নিক্সন চৌধুরীকে কড়া জবাব দিলেন কাদের মির্জা

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:৪৮ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং আওয়ামী লীগের আলোচিত নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার ৪র্থ বারের মতো নির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন। আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমি পাগল। আমি না কি তার কথা বলে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করছি। আমিতো আমার কর্মকাণ্ড দিয়ে ইতোমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছি। শেখ পরিবারের লোক এমপি নিক্সন চৌধুরীর মুখে এসব কথা মানায় না। নিক্সন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। এরা কী করে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার হয়? সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দের সঙ্গে নির্বাচনোত্তর কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব প্রশ্ন তোলেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, সে কোন ধরনের লোক। আসলে তার মুখ থেকে এ ধরনের কথাগুলো মানায় না। তিনি শেখ ফজলুল হক মনির ভাগিনা এবং নুরে আলম চৌধুরী শিমুলের ছোট ভাই। স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আমি পাগল এ কথাটা বলেছিল ফারুক খান ভোটের আগে। আমি পাগল না কি পৌরসভা নির্বাচনের পর তা প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে রোববার (১৭ জানুয়ারি) এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিক্সন চৌধুরী আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ‘পাগল’ আখ্যায়িত করে পাবনায় আটকে রাখার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পাগলারে পাবনায় আটকান। নইলে এমন গণধোলাই খাবেন, পালানোর পথ পাবেন না। পাগলদের স্থান রাস্তায় না। আমি সরকারকে অনুরোধ করি, পাগলকে পাবনা পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।’ কাদের মির্জার উদ্দেশে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘পাগলারেও আমি চিনি না, জীবনে দেহি নাই, জীবনে যাই নাই নোয়াখালী। আরে মিয়া নেতা হইতে চান? পরিচিতি চান? পাগলামি কইরা নেতা হওয়া যায় না। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে পাগলা আমি আপনারে কিছু কইছি কিনা? সরকারের উচিত এই সব পাগল যথাশীঘ্রই পাবনায় পাঠানো। না হলে গণধোলাই এমন খাবে যে চেহারা চেনা যাবে না।’ ওই বক্তব্যে মির্জা কাদের অভিযোগ করেন, সাংসদ নিক্সন তাঁকে চুনোপুঁটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর জবাবে মির্জা কাদের বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরী সাহেব আপনি বলেছেন চুনোপুঁটিদের কথা কে শোনে। নিক্সনকে জিগাই আপনার বয়স কত। আমার রাজনৈতিক বয়স আপনার বয়সের চেয়ে বেশি। আপনি ত্যাগী নেতা কাজী জাফরউল্ল্যাহকে হারাইয়া নির্বাচিত হয়েছেন ভোট চুরি করে।’ সাংসদ নিক্সন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আর একটা কথা কইতে মন চাইতেছে। না কইয়া পারি না। আগে দুই-একটা ভাঙ্গার পাগল আমারে নিয়া কথা কইত। আমি এত বড় নেতাই হইছি এখন ভিনদেশি পাগল আমার উপর খ্যাপছে। তারে আমি কিছু কইছি? তারে আমি চিনি? জীবনে নাম শুনছি? সে কয় আমি ভোট ডাকাতি কইরা এমপি হইছি। পাগলা স্বপ্নে না দেখলে এমন কথা কইতে পারে না।’ গত সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাঁর এলাকায় হয়েছে, মন্তব্য করে নিক্সন বলেন, ‘আমি কি ভোট ডাকাতি করেছি। বাংলাদেশে নির্বাচন হইলে একটাই নির্বাচন হয়েছে ভাঙ্গাসহ এই তিন উপজেলায়।’ সাংসদ বলেন, ‘আমারে চ্যালেঞ্জ জানাবেন না, পাগল হন আর ছাগল হন। আমরা খেলতে জানি, আমরা ভাইসা আসি নাই। পাগলামি অন্য জায়গায় গিয়া করেন। বড় পাগল ঠিক করতে অনেকবার ওষুধ দিছে এ এলাকার জনগণ। আর আপনার মতো ছোট পাগল ঠিক করতে আমার চরভদ্রাসন উপজেলার লোকই যথেষ্ট।’ ভাঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. বাকী মাতুব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: