প্রত্যেককে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:১৪ এএম
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীরা যে বিষয় নিয়েই অধ্যয়ন করুক, তার পাশাপাশি ডিজিটাল বিষয়ে তাদের বেসিক দক্ষতা অর্জন করা অপরিহার্য। কর্মসংস্থানের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। মেধাচর্চার কেন্দ্রভূমি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বুধবার (২০ জানুয়ারি) বগুড়ায় ওয়েবিনারে পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বগুড়া আয়োজিত ‘কোভিড -১৯ মোকাবিলায়, প্রযুক্তির ব্যবহার প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী করোনাকালে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জীবনযত্রা সচল রাখতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, আগামী সভ্যতা গড়ে উঠবে ডিজিটাল সংযুক্তির ওপর। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি দেশের এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। করোনাকালে উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ভাল করার মূলমন্ত্রটি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি। দেশের শতকরা সত্তর ভাগ করোনা রোগী ঘরে বসে অনলাইনে চিকিৎসা নিয়েছে। শিক্ষা-বাণিজ্য, অফিস, আদালত সবই ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সচল রয়েছে। দুর্গম গ্রামের শিশুটিও ইন্টারনেটকে তার শিক্ষার পাথেয় হিসেবে ব্যবহার করছে। এ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে তিনি উল্লেখ করেন। মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী দিনের শিক্ষা কাগজ নির্ভর হবে না। তিনি বলেন, বিগডাটা, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইন ইত্যাদি প্রযুক্তির ফলে সামনের দিনে ড্রাইভারবিহীন গাড়ি এবং কর্মীবিহীন গার্মেন্টস কারখানা দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষেত্রে টিকিয়ে রাখতে তাদেরকে ডিজিটাল যুগের দক্ষতা দিতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৬৫০টি বিদ্যালয়ে বই খাতা ছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী বলেন, আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি হলো ইন্টারনেট। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞানার্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের ভাল এবং মন্দ দু’টি দিকই আছে। মন্দটি অবশ্যই বর্জন করতে হবে। পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এ এন এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অভ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর হোসনে আরা বেগম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর সাদেকুল আরেফিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, সিটি ব্যাংক কর্মকর্তা অরূপ হায়দার বক্তৃতা করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: