নীলফামারীতে ঘর পেলেন ৬৩৭ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০১:২৯ এএম
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্প-০২’র আওতায় নীলফামারীর ছয় উপজেলায় দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর পেলেন ছয়শ’ ৩৭টি ভূমিহনি ও গৃহহীন পরিবার। আজ শনিবার ২৩ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে এসব ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূলত দেশের চার জেলা ও উপজেলার সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। এর মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলাও ছিল। এ উপলক্ষে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজবাড়ী আশ্রয়ণ পল্লীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক বর্ণাঢ্য অনুন্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসিম আহমেদ স্থানীয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কামারপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী আরজিনা বেগমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। এরপর সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও দলিলপত্র হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রচিত একটি ভাওয়াইয়া সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। এর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা করেন, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আদেলুর রহমান আদেল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব মিঞা, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার কান্তি ভূষন কুন্ডু প্রমূখ। ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সুধীজনসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজবাড়ী সরকারি খাস জমিতে এ সব দৃষ্টিনন্দন ৩৪টিসহ অপর পাঁচ উপজেলায় ছয়শ’ ৩৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরে রয়েছে একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর, বারান্দা ও ইউটিলিটি স্পেস। এদিকে, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর উপহার পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠে। নতুন ঘর পেয়ে শুধু সুবিধাভোগী পরিবারগুলোই নয়, গোটা জেলায় বইছে আনন্দের বন্যা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: