হাইকোর্টের সামনে ছুরিকাঘাতে নিহতের পরিচয় মিলেছে, হত্যাকারী যে কোনো সময় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০১:০৫ এএম
রাজধানীর হাইকোর্টের সামনের সড়কে ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে এবং হত্যাকারীকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন হত্যাকারী। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাইকোর্ট এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হামিদুলের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি অপরাধীকেও শনাক্ত করা গেছে। পুলিশ জানায়, ছিনতাইকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। মূল আসামিকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হবে। এদিকে এদিন সকালে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়। তার নাম হামিদুল ইসলাম, সেগুনবাগিচা এলাকায় ডিস লাইনের ব্যবসা করতেন তিনি। তার আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। গতকাল শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর হাইকোর্টের সামনের রাস্তায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন হামিদুল। রাত পৌনে ১০টার দিকে আবদুর রহমান নামের এক ভ্যানচালক তাঁর ভ্যানে করে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার সময় হাইকোর্টের কদম ফোয়ারার পাশে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাত্রাতে দেখেন। রাস্তায় রক্ত গড়িয়ে যাচ্ছিল। তিনি তাকে বাঁচানোর জন্য ভ্যান গাড়িতে তুলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ধারণা করা হয় ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করতে চাইলে তিনি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। একপর্যায়ে তার পায়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। টাকা না নিয়েই হয়তো ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। শাহবাগ থানার ওসি মামুনুর রশিদ গতরাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, পকেটে টাকা পাওয়া যাওয়ার কারণে বিষয়টিকে ছিনতাই মনে করা যাচ্ছে না। পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে কি কারণে এবং কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন সেটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: