রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আগে ভ্যাকসিন নিলে অসুবিধা কোথায়: রিজভী

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:০৭ পিএম
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী করোনার ভ্যাকসিন আগে নিলে অসুবিধা কোথায় এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এই সরকার জনগণের সাথে তামাশা শুরু করেছে। ভারতের ভ্যাকসিন দিয়ে অনেকে মারা গেছে।এজন্য আমরা বলেছিলাম নিরাপত্তা প্রমাণের জন্য ক্ষমতাসীনদের উচিত আগে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভ্যাকসিন আগে নিয়েছিল এবং ডাক্তার পাউসিও ভ্যাকসিন আগে নিয়েছিল। সুতরাং আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি আগে নিলে অসুবিধা কোথায়? তারা আগে নিলে জনগণের আস্থা বাড়বে এই ভ্যাকসিনের উপর। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, হাছান মাহমুদ মিথ্যার যন্ত্রে পরিণত হয়ে গিয়েছে। মিথ্যার যন্ত্রে পরিণত হয়ে বলছেন বিএনপিকে এ ভ্যাকসিন আগে দিবে। এদের উদ্দেশ্য হলো বিএনপিকে নিধন করা। খুন, গুম দিয়ে বিএনপিকে নিধন করার চেষ্টা করেছিল। এখন ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার জন্য বিএনপিকে আগে দিয়ে নিধন করার চেষ্টা। এসরকার মানুষের মরা বাঁচা নিয়ে তিরস্কারও শুরু করেছে। আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিস্মারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আরাফাত রহমান কোকো রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না। তবে রাজনীতি পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি।রাজনীতি পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এদেশের কোটি কোটি মানুষের সমাদৃত যে নেত্রী তাকে ঘিরে রেখেছে গুলশান অফিসে তার অধিক থেকে বালুর বস্তা, কাঠের বেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেস্টটোনি ছিল। রিজভী বলেন, আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সেটা লিখেছিলাম এক বাসা থেকে আরেক বাসায় গিয়ে গিয়ে। তখন হাবিব-উন-নবী খান এর উদ্যোগে মাঝে মাঝে ঝটিকা মিছিল দেখতাম।সারাদেশের নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবরোধ তৈরি করেছিল। এই মুহূর্তে একজন মা সরকারের নিপিরণ অত্যাচারের শিকার, গোলমরিচ যার চোখে,সে যদি তার কনিষ্ঠপুত্র এর মৃত্যুর সংবাদ শুনে তখন মায়ের কি অবস্থা হতে পারে সেই বেদনাকি সইবার মত? সেটা ছিল হিমালয় পর্বতের মত ভারি। এটা সেই সময় জনগণ এই উপলব্ধি করেছিল।তার লাশ যখন আনা হয়েছিল একদিকে খুন, গুম, অত্যাচার, নিপীড়ন আর অন্যদিকে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় মানুষের ঢল। এত অত্যাচার, নির্যাতনের মাঝেও মানুষের ঢল দেখে সেদিনই শেখ হাসিনা বার্তা পেয়ে গেছে। আর সেদিন থেকেই বিএনপির উপর অত্যাচার আরো বেড়ে দিয়েছে। এবং শেখ হাসিনা আরও অত্যাচারি হয়ে উঠেছে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন,হাবিব উন নবী খান সোহেল,কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: