‘এইবার আমাগো কষ্টডা কমবো’

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১০:০৯ পিএম
শামীম হোসেন সামন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: ‘এইবার আমাগো কষ্টডা কমবো। থাকার মতো আছিলোনা ঘর। মাইস্যের ঘরে থাকতাম। আকাশে মেঘ দেখলেই ডর করতো। পুলাপান নিয়া কত কষ্ট করতাম। কেউ একবার তাকাইয়াও দেকতো না। সবাই খালি কইতো এইবার একটা ব্যবস্থা কইরা দিমানি। পরে আর কইরা দিতো না। ভাঙ্গা ঘরে ম্যাঘ আইলেই পানি পড়তো রাইত যাইতো কত কষ্টে’। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ঘর পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের ছোট নবগ্রাম এলাকার মো. তাছির আলী। নবাবগঞ্জ উপজেলায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নতুন ঘর পেয়েছেন তার মতো ৭৭০টি পরিবার। সারাজীবন কষ্ট করেও নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে পারেননি তাছির আলী। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাকা ঘর পেয়ে খুশি তার পরিবার। তাছির আলী বলেন, আল্লাহ যেন প্রধানমন্ত্রীকে অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখেন। আমার মনের আশা পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ঠিকানাবিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশে ৬৬ হাজার ১৮৯ পরিবার ঘর ও জমি পেলো। নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের ছোট নবগ্রাম এলাকার শামসেল সরদার। পেশায় একজন ইলেট্রিক মিস্ত্রি। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে থাকতেন ছাপড়া ঘরে। সারাজীবনেও মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নতুন ঘরে খুশি তার পরিবার। শামসেল সরদার বলেন, ‘কোনদিন পাকা ঘরে থাকুম স্বপ্নেও ভাবি নাই। আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচিয়ে রাখুক’। একই অবস্থা দেলোয়ার হোসেনেরও। সংসারের ঘানি টানতে টানতে ক্লান্ত যেন দেলোয়ার। সংসার চালিয়ে সারাজীবনেও মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে খুশি দেলোয়ারের পরিবার। জীবনের শেষ সময় নতুন ঘর পেয়ে সুখের যেন সীমা নেই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলায় মুজিববর্ষে ৭৭০টি পরিবার পেয়েছে নতুন ঘর।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: