নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রিকেট কিংবদন্তি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সম্মানে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নড়াইল পৌরসভার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার আলমগীর হোসেন। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ১২টার দিকে শহরের বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন সরদার আলমগীর হোসেন। তিনি নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আগামী ৩০ জানুয়ারি নড়াইল পৌরসভার নির্বাচন। ১০ জানুয়ারি ছিল নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয় প্রচারণা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন আঞ্জুমান আরা, বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মো. জুলফিকার আলী এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন মওলানা মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রচারণার শুরু থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছিলেন সরদার আলমগীর হোসেন। গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সরদার আলমগীর হোসেনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সরদার আলমগীর হোসেনসহ তার সমর্থকদের নামে পরদিন থানায় মামলা করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর মেয়ে সঞ্চিতা আহমেদ। এতে ছয়জন গ্রেপ্তারও হন।
সরদার আলমগীর হোসেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে নড়াইল এগিয়ে চলছে। নড়াইল হবে প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ বাসস্থান। ওই অগ্রযাত্রায় শরিক হতে মেয়র পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিই। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কাজ শুরু করি। এ কয়দিনে মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। মাশরাফির জেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে তার জন্য দলীয় পর্যায়ে অসম্মানজনক। এছাড়া নির্বাচন করলে দলে বিভক্তি সৃষ্টি হবে, যা দলের জন্য সুখকর নয়। তাই স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সরদার আলমগীর হোসেনের সমর্থক এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মন্তব্য: