পুরনো দৃশ্যের ইঙ্গিত নিয়েই আগামীকাল সিটি নির্বাচন

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৮:০৭ পিএম
ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, চট্টগ্রাম থেকে: পুরনো দৃশ্যের ইঙ্গিত নিয়েই আগামীকাল ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন। ভোটের দিনের আগেই হয়েছে প্রাণহানি আর রক্তক্ষরণ, হয়েছে একাধিক ওয়ার্ডে সংঘর্ষ। প্রতিপক্ষ মেয়রপ্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা-ভাংচুর ও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে পুরনো দৃশ্যের ইঙ্গিতে শঙ্কা সংঘাতময়ের নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে? এনিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, বহিরাগত ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর চার প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই অভিযান চালিয়ে কয়েকজন বহিরাগতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে ২৫ প্লাটুন বিজিবি। সোমবার বিকেল থেকে বিজিবি সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহল শুরু করে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তত্ত্বাবধানে সোমবার বিকেল থেকে নগরীতে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছে। প্রতি প্লাটুনে ১৬ জন করে বিজিবি সদস্য রয়েছে। অপরদিকে ভোটের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাদের কর্মী সমর্থকদের ধরপাকড় ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলায় অন্তত ১০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। দিনভর পুলিশ সাদা পোষাকে মাইক্রোবাস নিয়ে নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশীর নামে তান্ডব চালিয়েছিলো। ভোট কেন্দ্রে না যেতে পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসার অভিযোগও পাওয়া যায়। এ সব ধরপাকড় ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়ে রিটারিং কর্মকর্তার কাছে তাদের মুক্তির দাবি জানান এবং সেখানে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান করেন। এছাড়াও এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন ৩জন আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। উৎসবমুখর নির্বাচন হয়ে উঠছে সংঘাতময়। দলীয় প্রার্থী আর বিদ্রোহীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তো রয়েছেই। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বহিরাগত, দলীয় মনোনীত প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী আর ক্ষমতাসীন দলের আন্তকোন্দলের কারণে রয়েছে সংঘর্ষ আর প্রাণহানির শঙ্কা, এজন্য ভোটের দিন সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাছাড়াও নির্বাচনের দিন সরকারী বেসরকারী অফিস ও কারখানা সমুহ খোঁলা রেখে রয়েছে সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত। তাই ভোটার উপস্থিতি নিয়ে খুবই শঙ্কিত তারা। ভোটের দিন সাধারণ ছুটি বাতিল করে ভোটগ্রহনের চেষ্টাকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেও মনে করেন সচেতন ভোটারদের অনেকেই। তাদের মতে, ভোটের দিন সকালেই গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা যথারীতি কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। কারন অফিস খোঁলা থাকায় কর্মস্থলে হাজিরা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়ে গেছে। কর্মস্থলে হাজিরা দিয়ে এসে অনেকের পক্ষে ভোট প্রদান সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকরা পড়বেন বেশি সমস্যায়।  

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: