আজ বাংলাদেশে প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন রুনু

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:০৭ পিএম
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা। তার সঙ্গে আরও দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নী খাতুন ও রিনা সরকারও টিকা নেবেন। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনুর পুরো নাম রুনু বেরোনিকা কস্তা। বয়স ৩৯ বছর। ৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত আছেন। রুনুর পর টিকা নেবেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নী আক্তার এবং রিনা সরকার। একইসঙ্গে ভ্যাকসিনেটর বা ভ্যাকসিন (পুশ) প্রদানের জন্য সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার ও দীপালি ইয়াসমিনের নাম রয়েছে এই তালিকায়। আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এরপর ওইদিনই ২৫ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশ ও আর্মি এদের মধ্যে যারা টিকা পাবেন তাদের ৫ জনের টিকা দেওয়া দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। রুনু বেরুনিকা কস্তা বলেন, পুরো বিশ্বেই তো এখনো কোভিড-১৯ মহামারি চলছে। সবাই ভ্যাকসিন নিয়ে ভাবছে। এমন অবস্থায় অনেক দেশেই এখনো ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা যায় নাই। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় আমাদের দেশে ভ্যাকসিন এসেছে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী একজন নার্স হিসেবে তাই আমি প্রথম ভ্যাকসিন নিতে যাচ্ছি। ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনো দ্বিধা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রুনু বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। তবে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে আমি ভ্যাকসিন নেব। অনেকেই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলছেন। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে এই ভ্যাকসিনটি কিন্তু তৈরি করা হয়েছে একটি ভালো উদ্দেশ্যেই। তিনি আরও বলেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে যদি কেউ ভ্যাকসিন না নেয়, তবে সেটা ভুল হবে। কারণ অনেক ওষুধেও কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আবার অনেকের শরীরে অনেক ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদি আমার শরীরে অন্যান্য রোগ বেশি মাত্রায় না থাকে, তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে তো কোনো সমস্যা নেই। রুনু বেরুনিকা কস্তা ২০১৩ সাল থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। এর আগে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে কাজ করেন। মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নার্সিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। তিনি দুই সন্তানের জননী এবং তার স্বামী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। জানা যায়, রুনু বেরুনিকা কস্তার পরে টিকা নেবেন ফিমেল মেডিসিন ইউনিটের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নি খাতুন ও একই ইউনিটে নার্স রিনা সরকার। চিকিৎসকদের মধ্যে টিকা নেওয়ার তালিকায় প্রথমে রয়েছেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. লুৎফর কবির মবিন ও ডা. শাহরিয়ার আলম। আজ (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রথমে রুনু বেরুনিকা কস্তাসহ তিনজন নার্স ও তিনজন চিকিৎসকের শরীরে টিকা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হবে কোভিড-১৯-এর টিকাদান প্রক্রিয়া।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: