সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। সেনা অভ্যুত্থানে আটক নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে মিয়ানমারজুড়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন। আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাজধানী নাইপিদো'তে এ ঘটনা ঘটে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়। মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহত মান্দালায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। অন্যদিকে, রাজধানী নেপিদোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি'র মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে এসেছে। মিয়ানমারে গত এক দশকেরও বেশি সময় এতো বড় বিক্ষোভ দেখা যায়নি। এদিকে, সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, জনগণের নিরাপত্তা ও আইন লঙ্ঘন করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে দেশটিতে দ্বিতীয়দিনের মতো বড় বিক্ষোভ হয় রোববার। এ দিন ২০০৭ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বাধীন ‘জাফরান বিপ্লবের’ পরে অভ্যুত্থানবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। 'ইয়াঙ্গুনের প্রতিটি কোণ থেকে দয়া করে শান্তিপূর্ণভাবে বেরিয়ে আসুন এবং জনগণের সভায় যোগ দিন’ ফেসবুকে এ আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অ্যাক্টিভিস্ট আই থিনজার মাং। একইসঙ্গে জান্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নেটওয়ার্ক বন্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে সমাবেশ করতে হবে। ভিপিএন নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহারের অনুরোধ করেছেন তিনি।
১ ফেব্রুয়ারি ভোরে অং সান সু চি, উইন মিন্টসহ দলের সিনিয়র নেতাদের আটক করে জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইং।
পাঠকের মন্তব্য: