স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ! ৯৯৯ ফোন দিয়ে চাওয়া হলো সহায়তা

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:১৬ এএম
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী গ্রামে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে সাতটার সময় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ধর্ষণের পর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাধা দেয় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। এসময় হামলায় আহত হয়েছে ওই ছাত্রীর মা,বড় বোন ও দুলাভাই। পরে বাধ্য হয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এদিকে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানান, সে স্থানীয় বসুরচর পাঁচগাও উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় বসত ঘরের সামনে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলার সময় স্থানীয় লিটন মিয়ার ছেলে আকাশ (১৮) ও পারভেজ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিকুর রহমানের পরিত্যক্ত বসতভিটায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে। তাদের কাছ থেকে বাঁচতে চিৎকার করে সে তবে পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়ীতে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজার কারণে সে শব্দ শুনতে পায়নি কেউ। ধর্ষণ শেষে তাকে বসতভিটায় ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরবর্তীতে তার জ্ঞান ফিরে আসলে সে কোন রকমে তার বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর বাধা দেয় ধর্ষক আকাশ ও সালাউদ্দিনসহ তাদের স্বজনরা। এ সময় তাদের মারধরের শিকার হন ওই ছাত্রীর মা, বড় বোন ও দুলাভাই। ওই ছাত্রীর মা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ধর্ষক ও তাদের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে তার বড় মেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গজারিয়া থানার এসআই মো. মাঈনউদ্দিন জানান, ফোন পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় আজ (শুক্রবার) ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা দুই জনের নাম উল্লেখ করে গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রইছ উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংঘবদ্ধ একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর সেজন্য সব কিছু মাথায় রেখে সামনে আগাচ্ছেন তারা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকদের তিন আত্মীয়-স্বজনকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে আগামীকাল শনিবার সকালে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: