স্বার্থন্বেষী মহলের স্বার্থ রক্ষায় শত শত কোটি টাকার পাটবীজ আমদানি

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:৩৫ পিএম
দেশে একটি স্বার্থন্বেষী মহলের কারণে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। প্রতি বছর দেশে পাটবীজের চাহিদা প্রায় ৬হাজার মেট্রিক টনের উপরে। দেশে উৎপাদন হচ্ছে ১হাজার মেট্রিক টন। বাকী পাট বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। দেশের যে পাটবীজের চাহিদা, তা পূরণ করতে পাড়ছেনা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)। কারণ তারা কন্ট্রক কৃষক এবং বংলাদেশ পাট গভেষনা ইনিষ্ট্রিইউট থেকে ১হাজার মেট্রিকটন জোগান পায় বাকী বীজ আমদানীকারকের কাছ থেকে ক্রয় করে কৃষকরা । বিএডিসির পাটবীজ বিভাগের পরিচালক মো. রাজেন আলী মন্ডল বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমরা যে পাটবীজ ভারত থেকে আমদানী করি সে জাতের পাটবীজ দেশে উৎপাদন করা হচ্ছেনা বিধায় ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে যে তোষা পাটের বীজ আমদানি করা হয় ওই জাতের বীজ দেশে পর্যাপ্ত পরিমান না থাকায় আমদানি করতে হচ্ছে। তবে বর্তমানে বিজেআরআই দেশি পাট-১০ অবমুক্ত করা হয়েছে । আশা করা যায় এটি চাষ করতে পাড়লে আমদানি কমানো সম্ভব হবে। তিনি আরোও বলেন, বিজেআরআই ভালো মানের তোষা পাটের সাট্রিফাই বীজ দিতে পাড়ছে না বলে আমাদেরকে বিপুল পরিমান পাটবীজ আমদানি করতে হচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসির কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে আমদানি কারকদের যোগসাজেসে এ বিপুল পরিমান পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এ পাটবীজ দেশে উৎপাদন করা হলে বিপুল পরিমান বৈদেশি মুদ্রা রক্ষা করা সম্ভব হতো। ভারত থেকে যে বীজ আমদানি করা হয় তার অধিংশই নষ্ট বলে জানা গেছে। মূলত বিএডিসি থেকে বাংলাদেশ পাট গভেষণা ইনিস্টিটিউট (বিজেআরআই) উপরে দায় ভার দিলেও প্রকৃতপক্ষে তারাই বীজের বিস্তার উৎপাদন করছেনা। পাট অধিদপ্তর কি বলছে: উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন প্রকল্প থাকলেও পাটবীজ চাষে কোন উন্নয়ন হচ্ছেনা। ৩শ‘৭৬কোটি ৪৬লাখ ৭৪ হাজার টাকার প্রকল্পে ৩৬টি জেলার ১৫০টি উপজেলায় পাট বীজ উৎপানের জন্য সাহায্য সহযোগীতা তেমন কোন উন্নতি করতে পারেনি প্রকল্পটি। কৃষকের ১৫হাজার১৮০ হেক্টর জমিতে ৭হাজার ৫শ‘ মেট্রিকটন উচ্চফলনশীল পাটবীজ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্র থাকলে বছরে উৎপাদন করেছে ৫০ থেকে ৬০টন। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে পযার্প্ত পরিমান পাটবীজ উৎপান্ন হচ্ছেনা। বাংলাদেশ পাট গভেষণা ইনিস্টিটিউট এর পরিচালক ড.মো.মুজিবুর রহমান বিডি২৪লাইভকে বলেন, ১৯৮৮ সালে পাটবীজ উন্নয়ন প্রক্রিয়া বিজেআরআই এর কাজ থেকে বিএফডিসি কাছে দেওয়া হয় তার পর ও থেকে দেশে পাটবীজ চাহিদার ১০পার্সেন্ট বীজ উৎপান্ন করতে পারছেনা। বর্তমানে দেশের পাট চাহিদার ৮৫% পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করে অথচ এই পাটবীজ দেশে উৎপাদন করা সম্ভব। অথচ তার তা করছেনা। পাট বীজের জন্য দেশকে এখনো বিদেশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সরকার পাট বীজের উপর শত শত কোটি টাকা খরচ করলেও অদৃশ্য কারণে এখনো হাজার হাজার কোটি টাকার বীজ বিদেশ থেকে আমদানী করতে হচ্ছে। বর্তমানে পাট অধিদপ্তরে ৩শ৭৬ কোটি৪৬লাখ৭৪হাজার টাকার প্রকল্প চলমান অথচ কয়ক হাজার কোটি টাকার পাটবীজ আমদানি করতে হচ্ছে। অনেক বছর ধরের সরকার চেষ্ঠ করছে দেশে বীজ উৎপাদনের কিন্তু কিছু হচ্ছেনা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: